• খুলনা বিভাগ

    পত্নীতলায় শীতের পোশাকের বাজার জমজমাট

      প্রতিনিধি ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১২:৫৬:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    কাওছার হাবিব- নওগাঁ প্রতিনিধি:

    নওগাঁর পত্নীতলায় ব্যাপক ভাবে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সন্ধ্যা ও রাতে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শহরে ও গ্রাম গঞ্জে জেঁকে বসেছে পৌষ মাসের শীত। গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ছে প্রচন্ড শীত থেকে রক্ষা পেতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের দোকান গুলোতে।

    নওগাঁর পত্নীতলা নজিপুরে বিভিন্ন দোকানের চেয়ে ফুটপাতের দোকানে ভীড় বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেট গুলোতে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেক রকম বাহারী পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। শুরুতেই শীত বস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক তুলেছেন তারা।

    নওগাঁর পত্নীতলা নজিপুর বাজারে, এলাকায় ফুটপাতের দোকান বসেছে অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বাজারে মহিলা ক্রেতাদের ভীড় বেশি দেখা যাচ্ছে আর সাথে নিয়ে আসছে তাদের ছেলে মেয়েদের। অনেক ব্যবসায়িরা ভ্যানের উপিরে পুরাতন কাপড় নিয়ে ফেরি করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। প্রতিদিন  সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের দোকান গুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও রাস্তার পাশের এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছে। বিশেষ করে মৌসুম ভিত্তিক দোকান গুলোতে শীতের কাপড় কেনা-বেঁচা চলছে পুরোদমে।

    তীব্র শীতের মাত্রা যখন বেশি তখন ফুটপাতের দোকান গুলোতে চোখ ফেলছে শীতের উষ্ণতা পেতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের, তবে এ রকম ভাবে শীতের মাত্রা আরো বাড়লে বেচাকেনা সামনের দিনে অনেক ভালো ব্যবসা হবে এমনটাই আশা ফুটপাতে বসা দোকানিদের। ফুটপাতের দোকানে একটি সোয়েটারের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ৫০ থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত, মাফলার ১০০ থেকে ১৫০ টকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সাদ্ধের মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করছে নিম্নবিত্ত দরিদ্র মানুষরা।

    প্রতি বছর শীত মৌসুম আসলেই তাদের বিক্রয়ের অবস্থা বেশ ভালোই হয় গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা থাকায় শীতার্ত মানুষ প্রচন্ড শীত থেকে রক্ষা পেতে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভীড় জমাচ্ছেন বড় শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান গুলোতে। ফুটপাতের দোকানদাররা জানান, শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয় এবং শীত কম হলে বেচা কেনা কম হয়। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায়, সে গুলোর দাম তুলনামূলক একটু কম হয়। কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না।তবে দর কষাকষি ছাড়া পছন্দের পোশাক ক্রেতাদের কেনা সম্ভব হয় না। সব পোশাকের দাম একটু বেশি করে চাওয়া হয়। যাতে বিক্রেতারা তাদের লাভ পুষিয়ে নিতে পারেন।

    অন্যদিকে ফুটপাতের আরো কয়েকজন শীতবস্ত্র বিক্রেতা জানায়, সব বয়সী মানুষের পোশাক বিক্রয় হচ্ছে, এসব ফুটপাত গুলোতে। গার্মেন্টস আইটেমের চেয়ে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রি করে বেশি লাভ হয়। ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে আমাদের লাভ-লোকসান। প্রতিনিয়ত শীতের পোশাক ক্রয় করি, তারপরেও অনেক কিনতে ইচ্ছে করে।

    বিশেষ করে শিশুদের দিকটা আলাদা। তাদের জন্য দেখে-শুনে ভালো শীতের পোশাক ক্রয় করি, ফুটপাতের দোকান গুলোতে শীতের অনেক ভালো পোশাক পওয়া যায়। দামের দিক দিয়ে ও মোটামুটি সস্তা। তবে দর দাম করেই পোশাক কিনছি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ