• কৃষি

    পত্নীতলায় ধানের চারা রোপনে ব্যাস্ত কৃষক

      প্রতিনিধি ১৯ জুলাই ২০২৩ , ১১:০৬:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    কাওছার হাবিব-স্টাফ রিপোর্টার

    সারাদেশের ন্যায় নওগাঁওয় শুরু হয়েছে আষাঢ়ের বর্ষণ ধারা,সপ্তাহজুড়ে মাঝে মাঝে অবিরাম বর্ষণে এখানকার সর্বত্র এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। আষাঢ়ের এই বর্ষণে নদী-নালা নিম্ন অঞ্চলসহ উঁচু স্থানের জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি জমে। এই পানি আমনের জমি তৈরির জন্য উপযুক্ত।তাই জেলার অন্য এলাকাসহ পত্নীতলা উপজেলার কৃষকেরা এখন আমন ধানের জমি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

    এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জমি তৈরি করতে কৃষকরা নানা কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ ব্যবহার করছেন পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর। আবার কোনো কোনো কৃষক গ্রামীণ পদ্ধতিতে গরুর সাহায্যে হালচাষ করছেন। বৃষ্টির জমানো পানি যেন কোনোভাবে নিষ্কাশন হতে না পারে, এ জন্য জমির চতুর্থ দিকে মাটির শক্ত আইল তৈরি করা হচ্ছে, আবার কোনো জমি থেকে অতিরিক্ত পানি সরিয়ে দেওয়ায় ব্যস্ত কৃষকরা। অনেকেই জমিতে থাকা আগাছা নিধনের জন্য প্রয়োগ করছেন কীটনাশক।

    জানা গেছে, নওগাঁর দুটি মৌসুমে কৃষকরা চাষ করেন ধান। একটি হলো- বোরো মৌসুম। শীতের প্রথম থেকে শুরু হয়। এই মৌসুমে ধান চাষকে নির্ভর করতে হয় বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প বা ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনের সেচের ওপর। অপরটি হচ্ছে- আমনের মৌসুম। যেটি শুরু হয় মূলত বর্ষায়। আমন ধান চাষ অনেকটা বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবছরের মতো এবারের আষাঢ় শ্রাবণের বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের আমনের জমি তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পত্নীতলা উপজেলার পত্নীতলা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের ইয়াছিন আলি জানান, বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে তারা আমন চাষ করে থাকেন। বহুদিন পর এই বৃষ্টির নাগাল পেয়েছেন। এই জমানো পানিতে আমন ধানের চারা রোপণের উপযোগী করতে গরু দিয়ে হাল চাষ করছেন। জমি তৈরি হলেই ধানের চারা রোপণ শুরু করবেন।

    একই এলাকার কৃষক ও পাওয়ার টিলার মালিক রেজাবুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিনের বয়ে যাওয়া বৃষ্টিতে চাষিরা নিজেদের জমিতে এই পানি জমিয়ে রেখেছেন। এখন পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তিনি পাওয়ার টিলার দিয়ে এক বিঘা জমি একবার চাষ করতে ৪০০ টাকা করে কৃষকের কাছ থেকে নিচ্ছেন। ওপর দিকে গরুর লাঙ্গল দিয়ে একবার চাষ করতে ৭০০ টাকা নিচ্ছেন।

    নওগাঁ কৃষি উপ অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, জেলার প্রায় ১১ টি উপজেলায় এবার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে জমি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে চারা রোপণ শুরু হয়েছে আর দুই চার দিনের মধ্যে চারা রোপণ শুরু হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ