প্রতিনিধি ২ আগস্ট ২০২২ , ৫:১২:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
নীলফামারীতে দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা এবং দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ও আমাদের করণীয় আলোচনা সভা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) দুপুরে নীলফামারী কির্ত্তনীয়া পাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এর হল রুমে শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ও আমাদের করণীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা এবং দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আব্দুল মোমিন এর সভাপতিত্বে
এ-সময় উপস্থিত ছিলেন।
নীলফামারী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, কির্ত্তনীয়া পাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আতিয়ার রহমান, সহকারী প্রসিকিউটর শাদীদ মোঃ মুনতাসির এলাহী প্রমুখ। এসময় সংস্থার সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সহনীয় মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত শব্দ মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ। মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণে শ্রবণশক্তি লোপসহ উচ্চ রক্তচাপ, মাথাধরা, খিটখিটে মেজাজ, বিরক্তি বোধ, অনিদ্রা,
হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাসহ নানা রকম মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। শব্দদূষণের প্রভাবে সর্বস্তরের মানুষ সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে ছাত্র-ছাত্রী, শিশু, হাসপাতালের রোগী, ট্রাফিক পুলিশ, পথচারী ও গাড়িচালকরা শব্দদূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শব্দদূষণ শিক্ষার্থীদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশের পথে বাধার সৃষ্টি করছে। দেশ ও জাতি বঞ্চিত হচ্ছে বিকশিত প্রজন্ম পাওয়া থেকে, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। তাদের মানসিক বিকাশের অন্তরায় শব্দদূষণ। শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের ওপরে হলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়।