• আইন ও আদালত

    তানোরে পল্লী বিদ্যুতের বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যে

      প্রতিনিধি ১৩ মে ২০২২ , ৫:২০:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর তানোরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও কথিত লাইনম্যানের (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান) বিরুদ্ধে বে-পরোয়া ঘুষবাণিজর অভিযোগ উঠেছে। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকার বিনিময়ে অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে। এসব অবৈধ মটরে সেচ বাণিজ্য করায় ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিএমডিএ’র গভীর নলকুপ সেচ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর গভীর নলকুপ অপারেটর বিজেন কর্মকার বাদি হয়ে অবৈধ মটরের সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে প্রকাশ, কৃষি মন্ত্রণালয় ও সেচ নীতিমালা লঙ্ঘন করে জেল নম্বর ৮৫ ও ৮৮ নম্বর দাগে অবস্থিত গভীর নলকুপ স্কীমের ভিতরে (কমান্ড এরিয়ায়) ৫ হর্স পাওয়ারের অবৈধ মটর স্থাপন ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সেচ বাণিজ্যে করছে।

    তানোর শিবতলা গ্রামের বাসিন্দা জামায়াত-শিবির মতাদর্শী
    লুৎফর রহমানের পুত্র গোলাম রাব্বানী ওরফে লেলিন। এছাড়াও তালন্দ ইউপির কালনা গ্রামের আনোয়ার হোসেন কালনা মাঠে অবৈধ মটরে সেচ বাণিজ্য করছে। অন্যদিকে দুবইল মাঠে জালাল উদ্দিন দুটি,শফিকুল ইসলাম দুটি, ডাম্ফু দুটি ও আশরাফুল ইসলাম একটি অবৈধ মটরে সেচ বাণিজ্য করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মটর মালিক বলেন, প্রতি মাসে পল্লী বিদ্যুতকে জরিমানার নামে রশিদ ছাড়াই দেড় হাজার টাকা করে দিতে হয়। এদিকে অবৈধ এই মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ একবার বিচ্ছিন্ন করা হলেও আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে পরের দিনেই গোপণে ফের সংযোগ দেয়া হয়েছে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা না হলে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বা খুন-জখমের মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে।

    কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে অন্যদিকে লেলিনের অবৈধ মটরে
    সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পুনঃরায় সংযোগের ঘটনায় ডিজিএম-এজিএম, পরিদর্শক ও লাইনম্যান চতুরমুখী দন্দে জড়িয়ে পড়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, গভীর নলকুপের কমান্ড এরিয়ায় সেচ মটর স্থাপনের কোনো সুযোগ নাই, বিদ্যুৎ সংযোগের তো প্রশ্নই উঠেনা। তিনি বলেন, অবৈধ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পল্লী বিদ্যুৎকে বলা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা (এজিএম) কামাল হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব বিষয়ে ডিজিএম স্যার ভাল বলতে পারবেন। এক বার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আবার কেনো সংযোগ দিলেন এই প্রশ্নের কোনো সদোত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেছেন। এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ তানোরের ডিজিএম জহুরুল ইসলাম বলেন, লেলিনের মটরের বিষয়ে তারা কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে গোলাম রাব্বানী লেলিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মুরগী খামার করে ব্যবসা হচ্ছে না, তাই অল্প কিছু জমিতে সেচ দিচ্ছি। তবে মটর স্থাপনে অনুমতি নিয়েছেন কি না সেই প্রশ্নের কোনো সদোত্তর না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে গেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ