• শিক্ষা

    তানোরের কোয়েল স্কুলে ৩৭ লাখ টাকা বাণিজ্যর চেষ্টা

      প্রতিনিধি ৪ নভেম্বর ২০২২ , ১২:৪৭:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) কোয়েল উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারির ৩টি পদে জনবল নিয়োগে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুঞ্জন বইছে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
    স্থানীয়দের অভিযোগ সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সামসুল ইসলাম যোগসাজশে এমপির নাম ভাঙিয়ে নিজেদের পচ্ছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে এই বাণিজ্যর চেষ্টা করছে। সরেজমিন অনুসন্ধান করলেই অভিযোগের সত্যতা পাওযা যাবে বলে তারা মনে করছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে,

    বিরাজ করছে উত্তেজনা এদিকে অনৈতিক লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে জনবল নিয়োগের কার্যক্রম বন্ধ এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার দাবিতে ৩ নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামবাসীর স্বাক্ষর সংবলিত লিখিত অভিযোগ ডাকযোগে চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), রাজশাহী বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা, রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ও রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে বরাবর প্রেরণ করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহকারী এক শিক্ষক বলেন, টাকা নিয়েছে কি নেয়নি এদের নিয়োগে সেটা প্রমাণ হবে, আর টাকা নেয়ার কথা কমবেশী সবাই জানে।

    অভিযোগে বলা হয়েছে, কোয়েল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান, প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শামসুল ইসলাম সিন্ডিকেট করে ৩টি পদের বিপরীতে তিন প্রার্থীর কাছে থেকে ৩৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সুত্র জানায়, কোয়েল পুর্বপাড়া গ্রামের জনৈক মিনারুল ইসলামের স্ত্রী রাণীকে চাকরি দেবার নামে ১০ লাখ, পশ্চিমপাড়ার আজাদ আলীর পুত্র রাজিব হোসেনের কাছে থেকে সাড়ে ১৩ লাখ ও হাটপাড়া কসিমুদ্দিনের পুত্র ফারুক হোসেনের কাছে থেকে সাড়ে ১৩ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ কিভাবে হয় সেটা আপনাদেরও (সাংবাদিক) জানার কথা, অহেতুক এসব প্রশ্ন করার মানে হয় না, তবে যদি অনিয়মের কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তদন্ত করে দেখা হবে, টাকা নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। এবিষয়ে সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, কারো কাছে কোনো টাকা-পয়সা নেয়া হয়নি, টাকা কারা নেয় সেটা সবার জানা। তিনি বলেন, এসব প্রতিপক্ষের অপপ্রচার। একটি মহল এমপির কাছে থেকে ছিটকে পড়ে আমাদেরও ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করছে। এবিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সামসুল ইসলাম বলেন, এই নিয়োগের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ