• আইন ও আদালত

    তাড়াশে মৃত্যু ব্যক্তির নামে খাল খননের টাকা উত্তোলন

      প্রতিনিধি ২৩ জুলাই ২০২৩ , ৯:৩৮:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মিজানুর রহমান-সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের জন্তিপুর গ্রামের মৃত বয়েন ফকিরের ছেলে মৃত্যু কাজেম এর নামে খাল খননের টাকা উত্তোলন দেখানো হয়েছে। অথচ ওই কাজেম ১১ বছর আগে মৃত্যু বরণ করেছেন। রোববার (২৩ জুলাই) গত ১৮জুন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি’র টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ২৭ কিলোমিটার খাল পুনঃখননের কাজের হাজিরা সিটে তার নামের হাজিরা স্বাক্ষর দেখা যায়। ওই সিটে তার ১৩ দিন কাজ হাজিরা ও স্বাক্ষর দেখিয়ে ২৬ হাজার ৬শ দুই টাকার বিল উত্তোলন করা হয়েছে।

    এভাবেই নয়ছয়ের মাধ্যমে খালের জলে ভেসে গেছে সরকারের কোটি কোটি টাকা। তাড়াশ এলজিইডি’র টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের উত্তর ভদ্রবতী প্রকল্পের ১২ নং গ্রুপের ২০ নং সদস্য কাজেমকে দেখানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এলজিইডি’র টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ২৭ কিলোমিটার খাল পুনঃখননের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ খাল খননের কাজ শেষ হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এলজিইডি, ভূগর্ভস্থ পানির উপড় চাপ হ্রাস করে ভূগপরিস্থ পানি সেচ এর আওতায় তাড়াশ উপজেলার বারুহাস দক্ষিণ ভদ্রাবতী।

    ও তালম ইউনিয়নের উত্তর ভদ্রবতী উপ-প্রকল্পের খাল পুনঃখনন কাজে বারুহাস ইউনিয়নের চৌধুরী বাড়ী জামে মসজিদ থেকে তালম ইউনিয়নের রানীরহাট ব্রিজ পর্যন্ত কাজে লেবার ৩০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ কাজ বেকু দিয়ে করার নিয়ম বলে জানায় খাল খননে প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা জানান, খাল দুটির পুনঃখনন কাজ স্থানীয় উপকারভোগীদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ সমবায় অধিদপ্তরের পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সদস্যদের নিয়ে ৪৪টি এলসিএস গ্রুপে ১১শ সদস্যের মাধ্যেমে খাল পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি গ্রুপে প্রায় ৯ লক্ষ ৪৬ করে টাকা প্রায় ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে খাল খনন করা হচ্ছে।

    মৃত কাজেমের ছেলে আশরাফুল জানান, আমার পিতা মারা গেছে ২০১২ সালে । ওরা আমার মৃত পিতার নাম ও স্বাক্ষর দিয়ে টাকা তুলছে। হাজিরা সিটে আমার নাম ও স্বাক্ষর, টাকাও নিয়েছে দেখছি। আমরা এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি এ রকম কাজ যে করেছে তাদের বিচার চাই।
    স্থানীয় উপকারভোগীদের সমন্বয়ে সমবায় সমিতির উত্তর ভদ্রবতী প্রকল্পের ১২ নং গ্রুপের সদস্যরা জানান, খাল খনন হচ্ছে আমরা দেখছি, আমরা এ কাজে সম্পৃক্ত নই। আর এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না । টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান জানান, খাল খননে ১১শ সদস্য রয়েছে, আমি আপনাকে এ ব্যাপারে এখন কিছুই বলতে পারব না। আপনি অফিসে আসেন আগামীকাল।

    এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো: ফজলুল হক জানান, আমি নতুন এসেছি, আপনি অফিসে আসেন ফাইল দেখে বিস্তারিত আপনাকে বলতে পারব। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সফিকুল ইসলামকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ