• বরিশাল বিভাগ

    ডান্ডা বেড়ী পায়ে বাবার জানাজায় ছাত্রদল নেতা নাজমুল

      প্রতিনিধি ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ , ৬:৩৮:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালীর জেলার মির্জাগঞ্জে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ী পরা অবস্থায় পিতার জানাজায় অংশ নিলেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। জানাজা নামাজের সময় হাতের হাতকড়া পুলিশ খুলে দিলেও খোলা হয়নি ছাত্রদল নেতার পায়ের ডান্ডাবেড়ি। গত ১৩ জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৩ টায় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের মৃধা বাড়ীতে জানাজার নামাজে অংশ নেয় ওই ছাত্রদল নেতা। নাজমুল মৃধা মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক।

    ওই ছাত্রদল নেতার স্বজনরা সাংবাদিকদের জানান, গতকাল শুক্রবার দিনগত রাত নয়টার দিকে ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধার বাবা দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মো. মোতালেব হোসেন মৃধা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ শনিবার বিকেল ৩টায় পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

    জেলা ছাত্রদল ওস্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নাজমুল মৃধা দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের সন্তান এবং উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক। গত ২০ ডিসেম্বর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী তাঁর নিজ বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বাবার জানাজায় অংশ নেয়ার জন্য শনিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেয় আদালত। জানাজা নামাজের সময় হাতকড়া খুলে দিলেও পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলেনি পুলিশ।

    এবিষয় মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘৫ ঘন্টার জন্য শর্ত সাপেক্ষে ছাত্রদল নেতাকে জামিন দিয়েছে আদালত। নিরাপত্তার স্বার্থে তার পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। এ ব্যপারে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধূরী ঘটনার বটাত দিয়ে জানান,নাজমুল মৃর্ধা মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক।

    তাকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র। রাজনৈতিক মামলায় বাবার জানাজায় অংশ নিতে আদালতের নির্দেশে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর তার ডান্ডাবেড়ী খুলে দেয়া উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। সে তো ছাত্রদল নেতা, তার মামলা মিথ্যা। সেতো ডাকাত নয়। পুলিশ বেড়ীকেটে ছিল তাই তার ডান্ডা বেড়ী খুলে দিতে পারতো। এ ইতিহাস কবে শেষ হবে। এটা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের সামীল। এই ইতিহাস গনতন্ত্রের জন্য শেষ হওয়া উচিত। আমরা এই ঘটনার তিব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ