• ঢাকা বিভাগ

    ছাত্রনেতা থেকে শীর্ষে নেতৃত্বে শামীম ওসমানের জীবনী

      প্রতিনিধি ৮ মে ২০২৩ , ১১:০৬:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ১৯৬১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

    পারিবারিক ঐতিহ্যঃ এ কে এম শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব এম ওসমান আলী ছিলেন তৎকালীন বৃটিশ ভারতের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব, এম এল এ এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ব্রিটিস সরকার তার যোগ্যতার কারনে খান বাহাদুর ও খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে সাথে অভ্যুথান এবং স্বাধীনতার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর হিসেবে সক্রিয়ভাবে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক সর্মথন দান করেন।

    এ কে এম শামীম ওসমানের বাবা প্রয়াত এ কে এম শামসুজ্জোহা ছিলেন খান সাহেব এম ওসমান আলী সুযোগ্য সন্তান। ভাষা আন্দোলন সহ ৬৬’ র অসহযোগ আন্দোলন ৬৯’ র গন অভ্যুথান এবং ৭১ এর স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা ছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধে যার অবদান অপরিসীম। স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ের পর প্রথম যিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ বঙ্গবন্ধু পরিবার ধানমন্ডিতে আটক করা বাড়িতে উদ্ধারের জন্য যান এবং পাকিস্তানী সেনা বাহিনী যারা কখনো স্বাধীনতার খবর জানতো না তাদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হন। যাহা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী তার স্মৃতিচারনায় র্বণনা করেন।
    এ কে এম শামীম ওসমানের মা ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। শামীম ওসমানের মামা আবুল হাশেম সর্ব বাংলা মুসলিম লীগের সেত্রেটারী ছিলেন। এ কে এম শামীম ওসমানের বড় ভাই আলহাজ্ব নাসিম ওসমান চার বার নির্বাচিত জাতীয় সাংসদ। তিনি ইন্তেকাল করলে তার আসনে উনার আরেক বড় ভাই এমপি পদে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। তার নাম আলহাজ্ব সেলিম ওসমান তিনি একাধারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, বিকেএমইএ’ র প্রেসিডেন্ট।
    শামীম ওসমানের দুই বোন প্রবাসী।
    এ কে এম শামীম ওসমানের সহধর্মনী সালমা ওসমান লিপি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মেয়ে। যার নানা ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। যার নামে এখনো আদমজীর একটি এলাকা অতি সুপরিচিত।
    এ কে এম শামীম ওসমানের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলের নাম অয়ন ওসমান, যিনি কিনা নাঃগঞ্জ তরুণ সমাজের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এবং মেয়ে দেশের বাহিরে কলেজে অধ্যায়নরত।

    শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী থেকে এসএসসি, তোলারাম কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্মাতক এবং নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ থেকে এল এল বি ডিগ্রি র্অজন করেন।
    পেশা : ব্যবসা
    ধর্ম : ইসলাম
    রাজনৈতিক কর্মকান্ডঃ ৮ম শ্রেণীতে পড়াশোনা অবস্থায় ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু করেন রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবন। পরর্বতীতে সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
    এরপর ১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জ ৪ (ফতুল্লা-সিদ্বিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
    সামাজিক ও উন্নয়ন কর্মকান্ড :- তোলারাম কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি থাকাকালীন সময় থেকেই শামীম ওসমান জনসেবার কার্যক্রম ব্যাপক বহি:প্রকাশের মাধ্যমে নন্দিত ছাত্র নেতা হিসেবে পরিচিত পান। তোলারাম কলেজের বহু গরীব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পৃষ্টপোষক হিসেবে সকল ছাত্রছাত্রীর কাছে অত্যন্ত প্রিয়জন হয়ে ওঠেন। এভাবেই মেধাবী পরিশ্রমী দক্ষ সংগঠক হিসেবে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে এগুতে থাকেন আজকের এ কে এম শামীম ওসমান। দক্ষ ও আপোষহীন নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সততা দেশ প্রেমের অসমাপ্ত কাজ করার লক্ষ্যে ৯৬ এর জাতীয় নির্বাচনে গন মানুষের আপোষহীন নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহ ভাজন হয়ে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে (ফতুল্লা-সিদ্বিরগঞ্জ) দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন এবং বিশাল ব্যবধানে জয়যুক্ত হন। নারায়ণগঞ্জবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে শুরু হয় তার আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার কার্যক্রম। *প্রথমেই হাত দেন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের অসমাপ্ত কাজে এবং নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে জনগনের জন্য উন্মুক্ত করেন গুরুত্বর্পূন লিংক রোডটি। পাড়া-মহল্লার আনাচে কানাচে সকল রাস্তা সংস্কার সহ বহু নতুন ঘাট তৈরি করেন। সিদ্বিরগঞ্জ হতে বক্তাবলী, কানাইনগর, লক্ষনগর সহ তার নির্বাচনী এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভাট র্নিমান করেন। বক্তবলী নবীনগর ফেরী চলাচলের জন্য পঞ্চবটি হইতে বক্তাবলী গুদারা ঘাট রাস্তার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। নারায়ণগঞ্জ বাসীর বিনোদনের জন্য কোন পার্ক না থাকায় বক্তাবলী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পার্কের জন্য স্থান নিধারন করেন। যা ২০০১ সালে নির্বাচনের পর চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে তা বাতিল করে দেয়। আর্ন্তজাতিক মানের স্টেডিয়াম হিসেবে খান সাহেব এম ওসমান আলী স্বার্থক প্রতিষ্ঠাতা তিনি। আর্ন্তজাতিক মানের খেলা উপভোগে নারায়ণগঞ্জবাসী আজ আর পিছিয়ে নেই এবং সাড়া বিশ্বে আজ নারায়ণগঞ্জ টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে ওঠে। তাও এ কে এম শামীম ওসমানের একক অবদান। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্য্যালয়ের নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়। * তোলারাম কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের মাধ্যমে অর্নাস কোস চালু একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নারায়ণগঞ্জ সাধারন মধ্যবিত্ত নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উতসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জনগনের সেবার দ্বারা উন্মূক্ত করেছের এ কে এম শামীম ওসমান। যার ফলশ্রতিতে নারায়ণগঞ্জ বাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতেই প্রমাণিত হয় শামীম ওসমান শুধু অভিজ্ঞ রাজনীতিকই নন একজন প্রকৃত শিক্ষানুরাগী। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতির শিখরে পৌছাঁতে পারে না, তা শামীম ওসমান উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন।

    এছাড়া সাংসদ থাকাকালীন সময়ে তার নির্বাচনী এলাকার এমন কোন মসজিদ মাদ্রাসা সরকারী বিদ্যাপিঠ ছিল না যেখানে সরকারী অনুদানের টাকা শামীম ওসমান পৌঁছান নাই।

    কলামিস্ট ,এফ সাফায়েত জামিল।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ