• আবহাওয়া

    চট্টগ্রামে বায়ুদূষণ বাড়ছে

      প্রতিনিধি ৪ ডিসেম্বর ২০২১ , ৭:৪৪:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্কঃ

    বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অপরিকল্পিত নির্মাণকাজ, অবৈধ ইটভাটা, কলকারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, গাড়ির কালো ধোঁয়াসহ নানা কারণে চট্টগ্রামে বায়ুদূষণ বাড়ছে। বায়ুদূষণের জন্য নগরীর ১৮টি স্টিল রি-রোলিং মিল ও ৯টি সিমেন্ট কারখানাকে দায়ী করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প, যেমন—লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, আউটার রিং রোড, বাকলিয়া অ্যাকসেস রোডে দিনরাত কাজ চলছে। এসব এলাকার বাতাসে সারাক্ষণ ক্ষতিকর ধূলিকণা ভাসে। একারণে এলাকার বাসিন্দারা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। সবগুলো প্রকল্পেরই পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে। সেই অনুযায়ী এসব এলাকায় নিয়মিত পানি ছিটানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও ঠিকাদাররা এই শর্ত পালনে আগ্রহ দেখান না।
    বায়ুদূষণ
    অন্যদিকে, দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কেবল জরিমানা করে দায়িত্ব শেষ করছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অনেক প্রতিষ্ঠান একাধিকবার জরিমানা দিয়েও বারবার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে।
    ২৪ বছরেও ভূমি জরিপ ও আদমশুমারি হয়নি
    পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের বাতাস এখন অস্বাস্থ্যকর। বাতাসের মান পরিমাপের জন্য নগরীর আগ্রাবাদ, ফয়’স লেক ও নাসিরাবাদে পরিবেশ অধিদপ্তরের তিনটি স্টেশন রয়েছে। এসব স্টেশনের পর্যবেক্ষণে চট্টগ্রামের বাতাসের মান স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে নয় বলেই দেখা যাচ্ছে। শীতকালে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বাতাসের মান আরো নেমে যায়। বায়ুদূষণের কারণে মানুষ ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগে ভুগছে মানুষ।
    বায়ুদূষণ
    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চট্টগ্রামে পাহাড়, গাছপালা ও সমুদ্রপরিবেষ্টিত হওয়ায় বায়ুদূষণ কম হওয়ার কথা। কিন্তু নির্মাণকাজের সময় পরিবেশগত শর্ত প্রতিপালন না করায় বায়ুদূষণ অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বায়ুদূষণের কারণে চট্টগ্রামবাসীর গড় আয়ু ৪ দশমিক ৮ বছর কমে যাচ্ছে।

    চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপসচিব ইশরাত জাহান ইত্তেফাককে বলেন, বাতাসে ক্ষতিকর উপাদান বা সাসপেন্ডেড পার্টিকুলেট ম্যাটরিয়ালসের (এসপিএম) গ্রহণযোগ্য মাত্রা ২০০ এর নিচে থাকতে হবে। শীতকালে বৃষ্টিপাত হয় না বলে ক্ষতিকর উপাদান বেশি থাকে। আবার বর্ষায় কমে যায়। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রত্যেকটা নির্মাণ এলাকায় প্রতিদিন পানি ছিটাতে হবে। এছাড়া বায়ুদূষণকারী কলকারখানার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দায়ি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। একটি সিমেন্ট কারখানাকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ