• আবহাওয়া

    শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আসছেন নিম্নচাপ সতর্ক সংকেত

      প্রতিনিধি ২৪ অক্টোবর ২০২২ , ৬:৫৪:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

    শিহাব আহম্মেদ-স্টাফ রিপোর্টার:

    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরো শক্তিশালী হচ্ছে। এটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আগের স্তরে রয়েছে। আরো শক্তিশালী হলে সোমবার সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ রূপ নিতে পারে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় ভারি বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।রোববার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৪) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরো সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে

    অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রোববার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

    চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত মানে হলো- বন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলো দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের বর্ধিতাংশের প্রভাবে এরইমধ্যে বাংলাদেশে বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

    রোববার সকাল থেকে আকাশও মেঘে ঢাকা। সোমবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল নাগাদ বাংলাদেশের তিনকোণা দ্বীপ (খুলনা) ও সন্দ্বীপের (চট্টগ্রাম) মধ্য দিয়ে এটি স্থলভাগে উঠতে পারে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘সিত্রাং’। নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। তবে শব্দটি শ্রীলংকা ভিত্তিক, এর অর্থ ‘পাতা’ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।পলাশ জানান,সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র পুরো বরিশাল বিভাগে ও চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। স্থলভাগে আঘাত করার সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

    ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে প্রবেশের সম্ভাব্য সময় ২৪ অক্টোবর সকাল ৯টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জানিয়ে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত করার পরে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে ১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাত অমাবস্যা হওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকা ও চরাঞ্চলগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ থেকে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ