• Uncategorized

    ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে উত্তরাঞ্চলের রাস্তাঘাট।

      প্রতিনিধি ২৭ জানুয়ারি ২০২১ , ৮:১৭:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরাঞ্চলের জনপদ। আবারও বাড়ছে শীত ও ঠান্ডা। বাড়ছে নিন্ম আয়ের মানুষের ভোগান্তি। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ফলে অতিরিক্ত ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে উত্তরাঞ্চলের রাস্তাঘাট। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কেউ আবার প্রয়োজনে বের হচ্ছে গরম কাপড় পরে।

    রংপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তরাঞ্চলে আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯দশমিক ৫ ডিগ্রী ও রংপুরে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রাত থেকে ঘনকুয়াশা পরে এ অঞ্চলে। দুপুরের আগে সূর্যের আলো দেখা যায় না।

    বুধবার (২৭জানুয়ারি) উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে সর্বনিম্নতাপমাত্রা ৯দশমিক ৫ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করছে। রংপুরে ১১দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রের্কড।

    আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯দশমিক ৫ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করছে। রংপুরে ১১দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রের্কড। তিনি আরো জানান, পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ার ও ভারত সীমান্ত দিয়ে নেপাল ও বিহার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঠান্ডা বাতাস আর শীত। এ কারনে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে শীত ও ঘনকুয়াশা বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছেন আবহাওয়া কর্মকর্তা। জানুয়ারি মাসের শেষ দুইদিন তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আশংকা করছেন তিনি। তাপমাত্রা কমে গেলে বাড়বে তীব্র ঠান্ডা।

    শৈত্যপ্রবাহের ফলে প্রচণ্ড ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশা আরো শীত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া কর্মকর্তা। রংপুরে ঠান্ডার সঙ্গে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে শীতজনিত রোগ বাড়ছে জেলায়। ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে শীত জনিত রোগ নিয়ে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে।

    রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরন্ময় কুমার রায় জানিয়েছেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শীতজনিত নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, যক্ষা, হাঁচি-কাশিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে নানা বয়সের মানুষ। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলায় বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক শিশু ও বৃদ্ধাসহ নানা বয়সের মানুষ।

    আবার শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেক এলাকাতে খড়খুটে জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গত ২৭ দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ৮ নারী মারা গেছেন। ভর্তি করা হয়েছে অগ্নিদগ্ধ ২৮জন রোগী।

    রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, ঠান্ডা আর শীতের সঙ্গে ঘনকুয়াশা বাড়ায় উত্তরাঞ্চলের মানুষ পড়ছে ভোগান্তিতে। এ কারনে জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ কম্বল ও অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। আরো চাহিদা দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ