• Uncategorized

    ইসলামি গজল গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে সুনামগন্জের অন্ধলোক মো: শফিকুল ইসলাম:

      প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২১ , ৫:৪৫:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    ইসলামি গজল গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে সুনামগঞ্জের অন্ধলোক মো: শফিকুল ইসলাম:

    ‘ ও মদিনা তুমায় ভুলতে পারিনা, ও মেরা নবী মেরা নবী , রাসুল নামের ফুল ফুটেছে, এরকম অসংখ্য ইসলামী গজল গেয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন অন্ধলোক মো: শফিকুল ইসলাম।
    সাধারণত গ্রামগঞ্জ ও শহরে প্রায় দেখা যায় যে অনেক সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ সামান্যতম অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হলে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে সাহায্য বা একেবারে ভিক্ষুক সেজে ভিক্ষাবৃত্তি করছে।
    অথচ একজন অন্ধলোক হওয়ার পরেও ভিক্ষা বা সাহায্যের জন্য কারো কাছে হাত না বাড়িয়ে। গজল গেয়েই জীবিকা নির্বাহ করছেন সুনামগন্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর
    গ্রামের বর্তমানে বসবাসরত দুচোখ একেবারে অন্ধ লোক মো: শফিকুল ইসলাম (৪৮)।

    গত ৫ জানুয়ারী ২০২১ মঙ্গলবার সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী বাজার এবং ৭ জানুয়ারী ২০২১ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় গোবিন্দ গন্জে পয়েন্টে অন্ধলোকটির সাথে কথা হয় আমাদের প্রতিবেদকের।

    অন্ধলোক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন গ্রামে, হাট বাজারে হামদে পাক, নাতে রাসুল (স:) ও ইসলামী সঙ্গীত গেয়ে জীবন জীবিকা চলে আমার।
    এমনি ভাবে সুনামগন্জ জেলার সদর উপজেলা থেকে জাউয়া বাজার, গোবিন্দগন্জ বাজার, ধারন বাজার, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী বাজারে গান গাইতে গাইতে আসি।
    যেখানে ই রাত হয় সেখানে রাত্রি যাপন করি।
    শিক্ষাগত যোগ্যতা বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শফিকুল ইসলাম বলেন পড়া শুনা একেবারেই নেই বললেই চলে যেহেতু আমি অন্ধ তাই পড়া শুনা তেমন একটা করতে পারিনি। সংসার জীবনে তিনি বিবাহিত স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়েই চলছে টানাপোড়েন জীবন। মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করছি। নিজস্ব কোন জায়গা জমি নেই। গজল গেয়ে ই চলে জীবন, কিন্তু বর্তমান আধুনিকতার চুয়া আর তথ্য প্রযুক্তির সময়কালে হাতে হাতে মোবাইল, বাজারে বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষজন এখন গজল শুনছে তাই আমি অন্ধ লোকের এই সব গজল আর মানুষ সেভাবে শুনতে চায় না।
    পাশাপাশি গজল শুনে মুগ্ধ হয়ে আগেরমত টাকা পয়সা মানুষ দেয় না তাই খুব কষ্টে অতিবাহিত করছি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ