প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২২ , ৮:৫৭:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
নদীর ধারে দুখুর বাস
পেয়াদা ছাড়া চলে,
দু একটা পেয়াদার তরে
ছোখের জল ফেলে।
বহু মাধুলি পড়িয়াও তার
ধরেনা গাছে ফল,
মেঘনা নদী ধরিছে দুখুর
নোনতা সাধের জল।
দুঃখ আর আফসোস মনে
ফরিয়াদ করে বিধাতায়,
জীবন বদল জীবন দিবে
পেয়াদা এখান চায়।
দুখু মিয়ায় পেয়েছে ছা
সিন্নি মান্নত দিয়ে,
আদুরি তার নাম দিছে তাই
হাসি আনন্দ নিয়ে।
গোবর ঘাটে পদ্ম ফুল
আদুরি পৌছে সাত,
সুখের অন্ত একটুও নাই
খেলেও পানির ভাত।
আদুরি মাতিয়া উঠানে
রান্না বান্না শিখে,
আনন্দ হাসিতে ফেটে
ভাংগা হাড়িটা দেখে।
মাও গেছে উজান গাঙ্গে
হলদে মাছ আনিতে,
ভাঙ্গা হাড়িকে গোসল দেয়
শখের রান্না রাধিতে।
উদর চাহে সামান্য খেতে
সান্তনা দেয় তারে,
আসুক মায়ে খাওয়ামু তোরে
গলা উপর করে।
বাবায় গেছে আনিতে শালুক
আসিবে খনিক পর,
পেট মরা তুই ধৈর্য্য ধরে
অপেক্ষা একটু কর।
এই ভাবনায় আদুরি
খেলছে মাতিয়া,
মেঘাছন্ন পূর্ব আকাশ
উঠলো গুরুম ডাকিয়া।
দানব ঝড়ে লন্ড ভন্ড
ভাসিয়া গেল সব,
কিনারটা পেলোনা খুজে
হাজার ডেকেও রব।
দুখুর সঙ্গী দুজন মিলে
উঠিলো এখান গাছে,
অশ্রু ভরা বেদন কন্ঠে
আদুরি মোর গেছে।
হাহুতাস আর আফসোস
মনে রহিলো দুজনা,
আকাশ পানে দেখিয়া ওরা
আর কিছু কহেনা।