• ঐতিহ্য

    পত্নীতলার দিবর দীঘি হতে পারে পর্যটক কেন্দ্র

      প্রতিনিধি ১ মে ২০২৩ , ৮:৪২:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ কাওছার হাবিব-স্টাফ রিপোর্টার:

    যথাযথ উদ্যোগ নিলে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঐতিহাসিক দিবর দিঘী দেশের অন্যতম পর্যটক কেন্দ্র পরিণত হতে পারে। এখানে আজো দন্ডায়মান দিঘির বিজয় স্তম্ভটি। সেই দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী দিরব দীঘিতে ভিড় জমাচ্ছেন।

    দিবর দিঘী বরেন্দ্র ভূমি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার দিবর ইউনিয়নে দিবর নামক গ্রামে অবস্থিত। দীঘিটি ১৯২৪ শতক জমির উপর অবস্থিত। দীঘিটিকে ঘিরে লোক মুখে অনেক কল্পকাহিনী প্রচলিত আছে। এলাকায় প্রবীণ ব্যক্তিদের মতে, বিষু কর্মা নামে এক বীর এক রাতে এই দীঘি খনন করেন।আবার কারো কারো মতে জ্বিনের বাদশার হুকুমে একরাতে বিশাল আকৃতির এই দীঘিটিকে খনন করা হয়। তবে যুগ যুগ ধরে লালিত ঐ সব গল্পের কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। আজ অবধি সঠিক ভাবে জানা যায়নি।

    প্রাচীন কালে এই দীঘিটির খনন ও স্তম্ভটি তৈরি করেছিলেন। দিঘির মাঝখানের এই বিজয় স্তম্ভটি ৯ কোণ বিশিষ্ট। ১ কোণ থেকে অপর কোণের ১২ ইঞ্চি দূরত্ব। স্তম্ভটির উপরিভাগে পরপর তিনটি রেখা আছে যা স্তম্ভটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। এর শীর্ষদেশ নান্দনিক কারুকার্য খচিত মুকুটাকারে নিমিত। বিজয় স্তম্ভটির শীর্ষ দেশে কোন মূল্যবান বস্তু আছে ভেবে বহু আগের শীর্ষ দেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। কথিত আছে। ঐ সব ব্যক্তিদের প্রত্যেকে দীঘিতে ডুবে মারা গেছেন।

    এক সময় দিবর দিঘী যথেষ্ট জমি ছিল। কিন্তু ভূমিদস্যুদের কারণেই দিঘির অনেক সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায়। বর্তমানে এই জলাশয় পরিমাণ ১৯২৪ শতক।মাছ চাষের জন্য লিজ দিয়ে সরকার প্রতিবছর দিঘী থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা রাজস্ব পায়।প্রতিদিন শত শত পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে দিবর দিঘী পর্যটক কেন্দ্র। যুগ যুগ ধরে প্রতিবছরের চৈত্র মাসে বহিন্দু সম্পাদায়ের বান্নির মেলা বসতো এখনো বসে। ২০০০ সাল থেকে স্থানীয়রা ঈদ মেলার আয়োজন করে আসছে। এসময় মেলায় প্রতিদিন অর্ধ লক্ষ দর্শনার্থীর সমাগম হয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ