• আইন ও আদালত

    তানোরে মাদ্রাসা বন্ধ রেখে ভূরিভোজ

      প্রতিনিধি ২৫ নভেম্বর ২০২২ , ১০:৫৪:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    তানোরে মাদ্রাসা বন্ধ রেখে ভূরিভোজ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরে মাদ্রাসা বন্ধ রেখে নির্দলীয় শিক্ষক-কর্মচারীর ব্যানারে মাদরাসা শিক্ষকদের বার্ষিক সম্মেলন করা হয়েছে। জানা গেছে, ২৪ নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার সরনজাই দাখিল মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই বার্ষিক সম্মেলন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,এদিন মাদরাসা ছুটি দিয়ে সকাল থেকে বিকেল তিনটা চলে সম্মেলন ও ভূরিভোজ। তবে নির্দলীয় বলা হলেও
    সরনজাই দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও সমিতির সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং গোকুল দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদের পরিচালনায় আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বক্তব্য রাখেন। তাদের ভাষ্য, এটা বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করার প্রস্তুতি সভা বলা হলেও ভূল হবে না। কারণ সভায় সরকারের কোনো উন্নয়নের কথা বলা না হলেও, বিএনপির সময়ে কি কি সুবিধা ছিল তার বিস্তর বিবরণ তুলে বক্তব্য রাখেন মোজাম্মেল হক খাঁন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, প্রধান অতিথি ইউএনও স্যারকে করা হয়েছিল, তিনি না আশায় চেয়ারম্যান হিসেবে মোজাম্মেল হক খাঁন প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। অথচ শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা স্থানীয় সংসদ, তবে সাংসদকে আমন্ত্রণ বা অবহিত করা হয়নি। এমনকি সাংসদের কোনো প্রতিনিধিকেও সেখানে দেখা যায়নি। সাংসদকে আমন্ত্রণ না দেয়ায় সহ-সভাপতিসহ কয়েকটি মাদ্রাসা সম্মেলন বয়কট করেছেন। এসব কারণে মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের ওপর চরম ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষক সমাজ। এমপি বা তার প্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ না করায় সম্মেলন বয়কট করেন জিওল মাদরাসার সুপার আসলাম উদ্দিন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় ২৮টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী কল্যান সমিতি গঠন এবং স্থানীয় সাংসদ ফারুক চৌধুরীকে উপদেষ্টা করা হয়। একাধিক শিক্ষক প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা সভাপতি ও সম্পাদককে একাধিকবার বলেছিলেন এমপি বা তার প্রতিনিধিকে প্রধান অতিথি করা হোক। কিন্তু তাদের কোন কথা তারা শোনেন নি। তাদের কথা শুনলে মনে হবে এমপি নেই, কারো স্বার্থ হাসিলের জন্য সভাপতি ও সম্পাদক মরিয়া। যদি নির্দলীয় সভা হয় তাহলে মোজাম্মেল চেয়ারম্যান কেনো এর জন্য সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সম্পাদক আব্দুল হামিদ দায়ী। মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সরনজাই দাখিল মাদরাসার সুপার সিরাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ও এমপি বা তার কোন প্রতিনিধিকে অবহিত করা হয়নি কেনো এর জবাবে
    সম্পাদক আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা কি করবো না করবো সেটা আমাদের ব্যাপার। এমপিকে কি বলতে হবে না হবে সেটানআমরা দেখব। নির্দলীয় সম্মেলন তাহলে বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হক কেন ? প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তার জায়গাতে সম্মেলন করা হচ্ছে, তাকে না ডেকে উপায় নাই। তবে এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান কোন মন্তব্য করেন নি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জিল্লুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অন্তত আটটি মাদ্রাসার সুপার ফোন করে তাকে বলেছে এমপি মহোদয়কে অবহিত না করায় তারা সম্মেলন বয়কট করেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ