• আইন ও আদালত

    ​মান্দার ভালাইন মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী হত্যার ৪ বছর পর খুনি গ্রেফতার!

      প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ২:৫৮:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    তৌকির আহম্মেদ-মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

    নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভালাইন ইসলামীয়া দারুল উলুম কওমি হাফেজিয়া মাদরাসার নৈশ প্রহরী মনছুর আলী সরদার (৩৫) কে আজ থেকে ৪ বছর আগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল দূর্বত্তরা।

    ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মজিদুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ৪ জুলাই অজ্ঞাত নামে থানায় মামলা করেন। মামলার চার বছর পর হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিনুর (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।জেলার মহাদেবপুর উপজেলার বাগডোব বাজার থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।আমিনুল ইসলাম ভালাইন গ্রামের আব্দুল জব্বার এর ছেলে। নিহত মনছুর সরদার উপজেলার ভালাইন গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।

    বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় র‌্যাব ৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- গত ২০১৭ সালের ৪ জুলাই মান্দা থানার মামলা নং-০৬, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড মূলে বর্ণিত হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসারের রিকুইজিশন মূলে তদন্তেপ্রাপ্ত আসামী আমিনুল ওরুফে আমিনুর গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ সিআইডিকে জিডি মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে আসামী গ্রেফতারের নেতৃত্বে ছিলেন জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্প কোম্পানির অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার তৌকির।

    স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভালাইন ইসলামীয়া দারুল উলুম কওমি হাফেজিয়া মাদরাসার আবাসিকে মনছুর সরদার অস্থায়ী ভাবে নৈশ প্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন। তার বাড়ির পাশেই মাদরাসা। আবাসিকে ৩৫/৪০ জন শিক্ষার্থী থাকত। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই রাতে বাড়িতে খাবার খেয়ে সাড়ে ১১টার দিকে মাদরাসার বারন্দায় শুয়ে ছিলেন। এসময় অজ্ঞাতরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকের ডান পাশসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    নৈশ প্রহরী মনছুর সরদার এর ছোট বোন স্থানীয় হরমুজ আলী সরদারের ছেলে আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন সরদার নামে এক বক্তির সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিল। এছাড়াও ওই এলাকার কিছু চিহ্নিত মাদকসেবী টুক্কুরউল্লা ফকিরের ছেলে সুজন মেম্বার, খাদেম সরদারের ছেলে গনু সরদার, ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে সাবেক মেম্বার মিলন এবং করিম সরদারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে মাদক সেবনে বাধা দিতো মনছুর। পরবর্তীতে আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন সরদার এর ইন্ধনে এ হত্যাকান্ড হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ