• আমার দেশ

    ৪ ডিসেম্বর সারাদেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি কর্মসূচি আহ্বান পীর সাহেব চরমোনাই’র

      প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০২২ , ১:৩৪:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:

    পাবলিক পরীক্ষাসহ শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও ডারউইনের বিবর্তবাদ সকল সিলেবাস থেকে বাদ দেয়ার দাবিতে ৪ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার সারাদেশে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গত ২২ নভেম্বর দলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    ৪ ডিসেম্বর ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা দক্ষিণ জমায়েত শেষে ঢাকা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করবে। উক্ত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। সারাদেশে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন দলের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

    আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার ধর্মহীন ও নাস্তিক্যবাদী জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামবিদ্বেষীদের নীল নকশা বাস্তবায়নে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। পাবলিক পরীক্ষায় ইসলামী শিক্ষার পরীক্ষা না নিয়ে কেবলমাত্র কাগজে-কলমে রেখে শিক্ষামন্ত্রী জাতির সাথে ধোকাবাজি করছেন।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদেরকে নাস্তিক ও ধর্মহীন বানাতে দিতে পারি না। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা পূর্বের ন্যায় বহাল রাখতে হবে। প্রথম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত ইসলামী ও দীনিয়াত শিক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে। তিনি বলেন, দেশে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত চলছে। ডারইউনের বিবর্তনবাদ সম্পূর্ণ নাস্তিক্যবাদী মতবাদ। এ শিক্ষা কোনভাবেই মুসলমানের দেশে চলতে পারে না। মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদ সত্বেও সরকার নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে এদেশের ধর্মপ্রাণ জনতা জীবন ও রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করবে। যারা মুসলমানের দেশে ইসলামী শিক্ষা নিয়ে ষড়যন্ত্র করবে, দেশবাসী তাদের আজীবনের জন্য প্রত্যাখান করবে।

    তিনি সরকারকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত ১০ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
    দাবিসমূহ হলো-
    ১। শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নে অভিজ্ঞ, দ্বীনদার আলেমদের সম্পৃক্ত করা।
    ২। আলিয়া মাদরাসা শিক্ষার কারিকুলাম, শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী মাদরাসা সংশ্লিষ্ট আলেম, দ্বীনদার শিক্ষকদের দ্বারা পুণঃমার্জন করা।
    ৩। বাংলা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাস বই হতে বিতর্কিত ও ইসলামী আকিদা বিরোধী প্রবন্ধসমুহ বাদ দেওয়া।
    ৪। ডারউইনের অপ্রমাণিত, ভ্রান্ত ও বিতর্কিত বিবর্তনবাদ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কারিকুলাম হতে বাদ দেয়া।
    ৫। নৈতিকতা সমৃদ্ধ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সকল ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
    ৬। ইসলাম ধর্ম শিক্ষার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে আল কোরআন শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা।
    ৭। শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলাম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও আবশ্যিক করা।
    ৮। শ্রেণিকক্ষে অন্যান্য আবশ্যিক বিষয়ের মতই ইসলাম শিক্ষাকে মূল্যায়ন করা এবং বোর্ড পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা।
    ৯। স্কুল ও মাদরাসার সকল পাঠ্যপুস্তক অপ্রয়োজনীয় ও অশ্লীল চিত্রমুক্ত রাখা।
    ১০। যেহেতু সাধারণ জনগণ এদেশের মোট শিক্ষা ব্যয়ের ৭১% বহন করেন, যা ইউনেস্কো জরিপে এসেছে, সেহেতু জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষাব্যবস্থা নয় বরং এদেশবাসীর ধর্মীয় চেতনার অনুকূল শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ