• রংপুর বিভাগ

    সুন্দরগঞ্জে শপিংমলগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

      প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২২ , ১১:২৫:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    বিশ্ব ব্যাপি করোনা ভাইরাসের কারণে গত দু বছর মন্দা ছিলো ঈদের বাজার। কেনাকাটা তেমন হয়নি । তবে এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক চলাচলে ও কোনাকাটায় কোনো বিধিনিষেধ থাকায় নতুন পোশাকে আবারও ঈদকে রঙিন করে তোলার সুযোগ পেয়ে ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শপিংমলগুলো। গভীর রাত পর্যন্ত দোকানপাটে ক্রেতাদের উফছে পড়া ভির লক্ষ করা গেছে। করোনার ধকল কেটে উঠার পর ব্যবসায়ীরা যেন নতুন প্রাণ ফিরে ফেয়েছে। বিশেষ করে রেডিমেট কাপড়ের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিরে পা ফেলার জায়গা নেই। সকাল ৯টা হতে রাত ১২ পর্যন্ত চলছে ঈদ কেনাকাটা।

    মার্কেটে পুরুষ ক্রেতার চেয়ে নারী ক্রেতার সংখ্য তুলনা মুলকভাবে অনেক বেশি। খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের দোকানগুলোতেও জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। গত দু’বছরের তুলনায় প্রতিটি পণ্যের দাম দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে প্রতিটি পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ হতে ৫ হাজার টাকায়, প্যান্ট ৪৫০ হতে ৩ হাজার ২০০ টাকা, শাট ৪০০ হতে ২ হাজার ৮ টাকা, শাড়ী ৮০০ হতে ৫ হাজার ৬০০ টাকা, থ্রি পিচ ৬৫০ হতে ৫ হাজার টাকা, মেয়েদের রেডিমেট জামা ৮০০ হতে ৬ হাজার টাকা, বোরকা ১ হাজার ৩০০ হতে ৪ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

    কাপড়ের পাশাপাশি জুতা, কসমেটিক, টুপির দোকানেও ক্রেতাদের ভির চোখে পড়ার মত। এদিকে ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিন্ম আয়ের পরিবারের সদস্যদের কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। সবমিলে গত দু’বছর পর ঈদ কেনাকাটা সরগরম হয়ে উঠেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমুহ। প্রশাসনের নজরদারী কম থাকায় ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাগণ নিরাপত্তাহীনতার অভাব মনে করছে। সে কারনে যানজোট নিরসন ও নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পুলিশি টহল জোরদারের দাবি ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের। ক্রেতা রেজাউল ইসলাম জানান, গত দু’বছর করোনার কারনে পরিবার পরিজনের ঈদ কোনাকাটা করতে পারি নাই।

    সে কারনে এ বছর আগাম কেনাকাটা করার জন্য মার্কেটে এসেছি। ছেলে মেয়েসহ পরিবারের সকলের রেডিমেট কাপড় , জুতা ও কসমেটিক কিনেছি। তবে দাম গত দু’বছরের তুলণায় অনেক বেশি। প্রতিটি জামা কাপড়ে দাম ২০০ হতে ৪০০ টাকা বেশি হয়েছে। তিনি বলেন, মার্কেটগুলোতে যথেষ্ট ভির এবং সড়কে যানজোট অনেক বেশি। কিন্তু পুলিশি কোন টহল চোখে পরেনি। বৈশাখী ফ্যাশানের স্বাত্তাধিকারি লাভলু মিয়া জানান, পহেলা রমজান হতে খুব ভাল বিক্রি হচ্ছে। গত দু’বছর ঈদে কোন কেনাকাটা হয়নি। সে কারনে ক্রেতাগন এ বছর পুরোদমে কেনাকাটা করছে। মার্কেটে কাপড়ের দাম অনেক বেশি হলেও ক্রেতাগণ ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য কাপড় কিনছে।

    সকাল ৯টা হতে রাত ১২টা পর্যন্ত কেনাকাটা চলছে। তবে পুলিশি টহল আরও বাড়াতে হবে, যাতে করে ক্রেতা এবং ব্যবসায়ীগন যেন কোন ক্ষতির শিকার না হয়। ওসি সরকার ইফতেখার মোকাদ্দেম জানান, পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে। টহল আরও জোরদার করা হবে। তিনি দোকান মালিক সমিতির নেতাদের পাহারা জোরদারসহ সিসি ক্যামেরা বাড়ানোর পরার্মশ প্রদান করেন। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের ঈদ কেনাকাটায় যাতে করে কোন প্রকার সমস্য না হয়, সে ব্যাপারে দ্রুত সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ