• স্বাস্থ্য

    সিরাজগঞ্জ তৃনমূলে স্বাস্থ্যসেবা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে গ্রামের মানুষ

      প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ , ৫:০৩:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

    তৃনমূলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষে কাজ করছে কমিউনিটি ক্লিনিক। রায়গঞ্জ উপজেলার ৪৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৪৮ জন সিএইচসিপির মাধ্যমে প্রায় ৩ লক্ষ জনগন সেবা পাচ্ছেন।
    বাশুড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত সিএইচসিপি কাজল দাস জানান, সরকার তৃনমূল স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছেন। গ্রামের মানুষ এখানে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকার ঔষধ পায়। প্রতিদিন আমার ক্লিনিকে ৫০-৬০ জন চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ নিচ্ছেন। শুক্রবার ও সরকারী ছুটি বাদে প্রতিদিন গ্রামের জনগন সেবা পাচ্ছে। গ্রামীন জীবনে স্বস্থি এনেছে কমিউনিটি ক্লিনিক।

    তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ক্লিনিকে উপস্থিত থাকেন। তারা ক্লিনিক খোলা এবং বন্ধ করা, রোগীর উপস্থিতি রেজিস্টারে নাম তোলা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নিশ্চিত করাসহ তাদের কর্মপরিধির আওতাধীন এই মুহূর্তে যে সব কর্মকান্ড পরিচালনা করা সম্ভব তা করেন।

    কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন, ‘বাড়ির কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকে সকল ধরনের ঔষধ পেয়ে থাকি। আমাদের বড় ধরনের সমস্যা না হলে আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেতে হয় না। কমিউনিটি ক্লিনিকে সব চিকিৎসা হয়। ওষুধ কিনতে হয় না। ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হয়। আগে শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হতো। সময় লাগতো বেশি, টাকাও খরচ হতো। কিন্তু এখন আর শহরে যেতে হয় না। সাধারণ রোগের চিকিৎসা তারা এখান থেকেই দিচ্ছেন।

    কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা আলামিন, বলেন, গত কয়েক দিন যাবত হাঁপানি ও শ্বাস কষ্টে ভুগছি। বাড়ির কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে এসেছি। এখানে সেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ-পত্র আমরা পেয়ে থাকি।
    কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কে সচেতন মহল বলছেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার কারণেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান বেড়েছে। হাতের কাছে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ পেয়ে সবাই খুশি। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার হওয়ায় সাধারণ মানুষের আস্থাও বেড়েছে।

    রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আমিমূল ইহসান তৌহিদ বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার কারণেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান বেড়েছে। এখানে সবচেয়ে বেশি গর্ভবতী প্রসূতি রোগীর সেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়ে থাকে। হাতের কাছে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ পেয়ে সবাই খুশি। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।’

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ