• Uncategorized

    সিরাজগঞ্জে যমুনাসহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি

      প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২৩ , ৬:৫৯:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মিজানুর রহমান সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

    উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, করতোয়া, বড়াল ও হুড়া সাগর নদীর পানিও। এতে ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষদের।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দির অন্তত ১৫ বাড়ি-ঘর নদীর পানি প্রবেশ করেছে। এসব বাড়ি-ঘরের মানুষ চৌকি উচু করে কমলমতি শিশুদের নিয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করছে করছে। এছাড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ নিচু গ্রাম গুলো এখন বন্যার পানিতে ভাসছে। অনেক রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে যমুনায় পানি বাড়ার ফলে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল সমূহ। তলিয়ে যেতে শুরু করেছে চরাঞ্চলের আবাদি ও অনাবাদি জমিও।

    রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টার সময় সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬১ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এই নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বিপৎসীমা-১২ দশমিক ৯০ মিটার)। অপরদিকে, কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩৭ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১৪.৮০ মিটার)।

    কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি তলিয়ে যাচ্ছে। বসতবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে কাওয়াকোলা ইউনিয়নের হাটবয়রা, ছোট কয়রা, দোগাছি ও কাওয়াকোলা গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এসব অঞ্চলের শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

    শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁন জানান, বন্যা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে তার ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দি গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ২ মাসে অন্তত শতাধিক বাড়িঘর যমুনায় বিলিন হয়ে গেছে। অসহায় জীবন যাপন করছেন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষরা। এছাড়া অন্তত ১৫ বাড়িঘর বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় এসব বাড়িঘরের মানুষ চৌকি উচু করে বসবাস করছেন।

    কৈজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন জানান, যমুনার ভাঙনে ইটপাচিল গ্রামের ২ শতাধিক মানুষ নিঃস্ব হয়েছেন। এদের অনেকে পলিথিনের ঝুপড়ি তুলে বাস করছেন। তারা রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নিচু বাড়ি-ঘরে বন্যার পানি উঠতে শুরু করায় চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদে স্থানে চলে যেতে বলেছি।

    সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, উজানে ও দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টির কারণে যমুনায় পানি বাড়ছে। এতে চরাঞ্চলের নিম্নভূমিগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। আরও দুই থেকে তিনদিন পানি বাড়লেও বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ