• আইন ও আদালত

    সিরাজগঞ্জে ছাত্র শিবিরের ১৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

      প্রতিনিধি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ১০:০৭:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সলঙ্গা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী নৌকাঘাটের পল্টন এবং স্টীমার ও শহীদ শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্ক ভাংচুরের প্রস্তুতিকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের ১৫নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার ভোরে পৌর এলাকার যমুনা নদীর শেখ রাসেল শিশুপার্ক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মামলা দায়েরের পর বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো- সদর উপজেলার কাদাই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে মো. হাসানুর রহমান ওরফে হাছান (২২), ভারাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. মুসা (২০), নয়াচড়া গ্রামের মো. জালাল শেখের ছেলে মো. ইসলাম শেখ (২১), চর ছোনগাছা গ্রামের নানু মিয়ার ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (২৩), কয়েলগাঁতী গ্রামের খোকন তালুকদারের ছেলে মো. খালিদ হাসান (১৯), বানিয়াগাঁতী গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে তারিকুল ইসলাম (২০),

    পোড়াবাড়ী গ্রামের সিরাজুলের ছেলে আল ছাহাব (১৭), পাইকপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে হুমায়ুন কবির (২০), ভারাঙ্গা কড্ডা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে মো. লাদেন শেখ (১৯), জারিলা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে ছাব্বির হোসেন (১৭), জারিলা পোড়াবাড়ী গ্রামের হাসিনুর রহমানের ছেলে রাজু আহম্মেদ (২০), একই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে নাজমুল হাসান (১৭), চন্দ্রকানা গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে মো. আহাদ (১৬), বানিয়াগাঁতী গ্রামের সন্তোষ শেখের ছেলে শরিফুল ইসলাম (১৯) ও সয়াধানগড়া মধ্যপাড়া গ্রামের ছানু শেখের ছেলে আবির হোসেন সোহান ওরফে সৌভিক (১৬)।

    সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ভোর পৌনে ৬টার দিকে যমুনা নদীর বাঁশঘাট এলাকায় ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ককটেল লোহার লড, শাবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নৌকা ঘাটের পল্টন, ষ্টিমার এবং শেখ রাসেল পৌঁর শিশু পার্কের বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুরের প্রস্তুতি নেয় এবং দুটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শিবিরের নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, জেলা জামায়াতের সভাপতি শাহিনুর ও সেক্রেটারী জাহিদুলের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনায় নেতাকর্মীরা নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ ঘটনায় ২নং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. সোহাগ বাদী হয়ে ১৭ জন আসামীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ