• জাতীয়

    সরকার গায়ের জোরে একতরফা নির্বাচন করলে জনগণের রুদ্ররোষ থেকে বাচতে পারবে না

      প্রতিনিধি ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১১:৩৪:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

    আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচন্ড বিরোধীতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার অপরিণামদর্শি খেলায় মেতে উঠেছে। জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করলে এটা দেশবাসী মানবেচ না। প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ফিরে আসতে হবে। অন্যথায় জনগণের রুদ্ররোষ থেকে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা রেহাই পাবে না। তিনি পাতানোর নির্বাচনে কেউ কোন সহযোগিতা করা থেকে এবং ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনীতি এখন ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত। ব্যাংকগুলোর আমানত ও দেশের রিজার্ভ লুটপাটের কারণে অর্থনীতি এখন ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে সরকার এখন গার্মেন্ট শিল্পকে মারাত্মক ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণ যখন অভাবের তাড়নায় দিগ্বিদিক ও দিশেহারা। সরকার খেল-তামাশার নির্বাচন নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারপ্রধানের কার্যক্রম দেখে এটা পরিষ্কার যে প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতা নিয়ে তিনি দেশ শাসন করছেন। যখন দেশের ঘরে ঘরে অভাব, মানুষ যখন নির্যাতিত ও অধিকারবঞ্চিত— তখন ঢোল-তবলা নিয়ে আওয়ামী লীগের উল্লাস দেখে জনগণ ক্ষুব্ধ। আওয়ামী লীগ ও নৌকার প্রতি মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃণা ক্রমেই বেড়ে চলছে। জনসমর্থন হারিয়ে দিশেহারা ও বিপর্যস্ত। এজন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভয় পায়।

    আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছিলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা নূরুল ইসলাম আল-আমিন, মাওলানা নূরুল করীম আকরাম।

    মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকার নতুন শিক্ষা কারিকুলামে নতুন প্রজন্মকে মেধাশূণ্য করার নীলনকশা করছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের চাওয়া পাওয়া, আবেগ-অনুভুতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভিনদেশি কালিকুলাম চাপিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষা কারিকুলামে দেশের সচেতন অভিভাবক ত্যক্তবিরক্ত হয়ে এই কারিকুলাম বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। তিনি বিরানব্বই ভাগ মানুষের চিন্তা-চেতনা ও অনুভুতি অনুযায়ি শিক্ষা কারিকুলাম ঢেলে সাজানোর দাবি জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ