• আইন ও আদালত

    শেরপুরে পুলিশের নারী কনস্টেবল বিষপানে আত্মহত্যা

      প্রতিনিধি ১৪ জানুয়ারি ২০২২ , ৪:৪০:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্কঃ

    ডিউটি থেকে বাড়ীতে এসে বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের এক নারী কনস্টেবল বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।ওই নারী কনস্টেবলের নাম রহিমা খাতুন (২০)। তিনি উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের চন্ডেশ্বর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন তিনি।

    পরিবার সূত্র জানায়, সেখানে কর্মরত একই ব্যাটালিয়নের পুলিশ কনস্টেবল হৃদয় হাসানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রহিমার। তবে বিয়েতে অসম্মতি জানানোই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।

    নারী কনস্টেবল রহিমা খাতুনের চাচা রুবেল আহমেদের ভাষ্যমতে, চার-পাঁচদিন আগে ছুটি নিয়ে বাড়ী আসেন রহিমা খাতুন। এরই মধ্যে ফোনে প্রেমিক হৃদয় হাসানকে বিয়ের জন্য চাপ দেন তিনি। কিন্তু বিয়েতে রাজি ছিলেন না হৃদয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে ফোনে ঝগড়া হয়। রহিমা খাতুন ঘটনাটি পরিবারের সবাইকে জানান। এরপর তার বাবা-মা অন্য জায়গায় তাকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এতে অভিমান করে আজ সকাল ১০টার দিকে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান রহিমা।

    একপর্যায়ে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হাতিগাড়া এলাকার স্যাটকম এগ্রো পার্কে (সাবেক সাউদিয়া পার্ক) গিয়ে বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পার্কের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বেড়াতে যাওয়া লোকজন উদ্ধার করে তাকে শেরপুর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে বগুড়ায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রহিমা খাতুন।

    জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই নারী কনস্টেবলের মরদেহ বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।তিনি আরও বলেন, কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা তদন্তের পরই কেবল বলা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ