• শিক্ষা

    রাজশাহীর এক কলেজেই জাল সনদে ৫ শিক্ষক

      প্রতিনিধি ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১২:০২:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মোহনপুর^ উপজেলার মোহনপুর ডিগ্রী কলেজের ৫ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, দেশব্যাপী জাল সনদধারী শিক্ষক কর্মচারীদের চিহ্নিতকরণসহ শিক্ষাখাতের নানা অনিয়ম অনুসন্ধান শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ইতমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এসব শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ ও সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করা টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে বলা হয়েছে। এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, দাবি উঠেছে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের কঠোর শাস্তির। শিক্ষিত বেকারদের দাবি যদি তাদের চাকরিচ্যুতসহ জেল জরিমানা না হয় তাহলে তারা মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসুচি দিবেন।

    স্থানীয়রা বলছে, কলেজ অধ্যক্ষের যোগসাজশে জাল সনদে এরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছে, তাই অধ্যক্ষেরও শাস্তি দিতে হবে।অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, আবু বকর প্রভাষক রাস্ট্র বিজ্ঞান, পরিমল কুমার প্রভাষক বাংলা, কামরুন নাহার লাবনী রাস্ট্র বিজ্ঞান, মিলন কুমার সরকার রাস্ট্র বিজ্ঞান ও আমজাদ হোসেন প্রামানিক প্রভাষক ব্যবস্থাপনা বিভাগ। স্থানীয়রা বলছে, যারা জাল সনদে নিয়োগ নিয়ে সরকার, দেশ, জাতি ও শিক্ষতার মতো মহান পেশাকে কলঙ্কিত করেছে তাদের দৃশ্যমান শাস্তির আওতায় নিতে হবে। এরা শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে কলঙ্কিত ও প্রতারণা করে বছরের বছর সরকারি অর্থ আত্মসাত করে আসছে। অথচ অনেক যোগ্য ও দক্ষরা একটা চাকরির পিছনে ঘুরে ঘুরে জীবনের সোনালী সময় নস্ট করছে। ফলে শিক্ষক নামের এসব প্রতারকদের কোনো ক্ষমা হতে পারে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, শিক্ষক নামের এসব প্রতারকদের সরকারি টাকা আত্মসাতে যারা সহযোগীতা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

    তিনি বলেন, এর দায় প্রতিষ্ঠান প্রধানও এড়াতে পারে না, কারণ তার সহযোগীতা ব্যতিত একই প্রতিষ্ঠানে ৫ জন শিক্ষক জাল সনদে শিক্ষকতা করতে পারে না। এবিষয়ে জানতে চাইলে মোহনপুর ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, তিনি এখানো কোনো পত্র পাননি। তিনি বলেন, তাদের সনদ যদি জাল হয় তবে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এটা কল্পনাও করা কঠিন, একটি প্রতিষ্ঠানে ৫ জন শিক্ষক জাল সনদে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন। তিনি বলেন, তারা এখানো এবিষয়ে কোনো নির্দেশনা বা পত্র পাননি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ