• আন্তর্জাতিক

    মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইসরাইলের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে

      প্রতিনিধি ১০ অক্টোবর ২০২৩ , ৯:৪৪:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন আল-আকসা মুসলমানের প্রথম কেবলা। আল-আকসা মুসলমানের পুণ্য ভূমি। এটি মুসলিম উম্মাহর সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, এ দায়িত্ব গোটা মুসলিম উম্মাহর। দীর্ঘ প্রায় আট দশক ধরে দখলদার ইসরাইল গাজা দখল করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। আর ইসরাইলকে সহায়তা করছে পশ্চিমাগোষ্ঠী। পশ্চিমারা ইসরাইলকে দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত করে রেখেছে। স্বাধীন রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দখলদার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়াখ্যাত ইসরাইলের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।
    আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরফুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, হাফেজ শাহাদাত হোসাইন প্রধানিয়া, মাওলানা মুহাম্মাদ আল-আমিন সোহাগ, মুফতী হাফিজুল হক ফাইয়াজ, ইউসুফ পিয়াস, আব্দুর রহমান, মাইদুল হাসান সিয়াম। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেএম শরীয়াতুল্লাহ ও মুফতী ফরিদুল ইসলাম।

    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবৈধ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় হাজার হাজার মুক্তিকামী জনতার ওপর হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দলের আমীর বলেন, স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা নৃশংস, নির্দয়, নির্মম ও চরম অমানবিক। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সন্ত্রাসী ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার ধিক্কার জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চলমান হামলা হামলা ও সহিংসতার জন্য ইসরাইল দায়ী। অবিলম্বে এ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সাহায্য দেয়ার জন্য জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপগ্রহণের আহ্বান জানান।

    তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে এ কথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ‘স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না’। তাই অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার জন্য ওআইসি, জাতিসঙ্ঘ, শান্তিকামী বিশ্ববাসী ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার অর্জন, সম্মানজনক জীবনলাভের সংগ্রামে, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায়’ ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে অতীতে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো।

    প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে শান্তিকামী ফিলিস্তিনি জনতা আত্মরক্ষার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুললে পশ্চিমাগোষ্ঠী তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে। অথচ ইসরাইলিরা যে অবৈধভাবে জেরুজালেম দখল করে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে তখন পশ্চিমারা নিরব ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, জারজ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্ব জেগে ওঠেছে। আল-আকসা মুসলিম উম্মাহর সম্পদ। গাজা ফিলিস্তিনিদের ভূমি। ইসরাইলকে ফিলিস্তিনের ভূমি ছেড়ে দিতে হবে। ইসলাইল একটি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। ইহুদিবাদ একটি অসভ্য জাতি। মাধ্যপ্রচ্যসহ সারাবিশ্ব আজ ইসরাইল দ্বারা আক্রান্ত। ইসরাইলের নাম-নিশানা মুছে দিতে না পারলে অশান্তির আগুন লেগেই থাকবে।

    সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ইসরাইল নামে কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিলো না। পশ্চিমাবিশ্ব মানবতার দোহাই দিয়ে আশ্রয়ের নামে বসবাসের জন্য সামান্য জায়গা দেয়। কিন্তু আজ আশ্রিত হয়ে পুরো একটি স্বাধীন দেশকে তারা গিলে ফেলেছে। সেখানে হত্যার মহড়া চালাচ্ছে। আমরা এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে ইসরাইলী দখলবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকর উদ্যোগগ্রহণ করার জন্য বিশ্ব মানবতার প্রতি আহ্বান জানাই।
    সমাবেশ শেষে দলের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীমের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড়, বিজয়নগর নাইটাইঙ্গেল মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ