• রাজশাহী বিভাগ

    ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিলের দাবি নৌকার প্রার্থীর

      প্রতিনিধি ৩০ জানুয়ারি ২০২২ , ১২:৫২:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    শাকিল হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:

    নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী।

    রোববার দুপুরে উপজেলার রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদেক উদ্দীন সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচনে গত ৫ জানুয়ারি নজিপুর ইউনিয়ন সহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের দিন নজিপুর ইউনিয়নের অন্যান্য কেন্দ্রের মতো রঘুনাথপুর কেদ্রেও ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

    কিন্তু ভোটগ্রহণ শেষে ফালাফল প্রকাশের কিছু আগে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান মিন্টু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা ইভিএম বাক্সে অগ্নিসংযোগ করে এবং ইভিএম মেশিনের এসডি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আহসান হাবীবকে মারধর করে। এই পরিস্থিতিতে প্রিজাইডিং কেন্দ্রে উপস্থিত চেয়ারম্যান ও নজিপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের ইভিএমের এসডি কার্ড হারিয়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে ওই কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হবে মর্মে প্রত্যয়নপত্র দেন। এ সময় ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন গোলযোগ শুরু করলে পুলিশের সংগে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১১১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

    পরবর্তীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের মিন্টুর সাথে আঁতাত করে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই দিন গভীর রাতে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে এবং মাত্র ৩১ ভোটের ব্যবধানে হাবিবুর রহমানকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
    ওই কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগে পুনরায় ভোট গ্রহণের জন্য সাদেক উদ্দীন হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন। ওই শুনানি নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি এম এস কাজী জিনাত হক নজিপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় কেন নির্বাচন গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ছয়জন বিবাদীর বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। বিবাদীদের রুল জারির ২৮ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া রিটের শুনানি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের ফলাফল গেজেট স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
    সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে নজিপুর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শাহিনুর রহমান, সুমন চন্দ্র মণ্ডল, আশরাফুল ইসলাম, মিল্টন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ