• Uncategorized

    বাউফলে প্রথমিকের ভবন দখল করে নিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা

      প্রতিনিধি ৯ মে ২০২৩ , ১০:৫৩:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মহসিন মীর, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

    পটুয়াখালীর বাউফলে প্রথমিক বিদ্যালয়ের ভবন দখল করে নিয়েছে একই ক্যাম্পাসের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধুলিয়া প্রথমিক বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে।
    ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের আইএমএফের অর্থায়নে প্রথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মিত হয়। চলতি বছরের ২৭মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাতে ভবনটি হস্তান্তর করা হয়। সে অনুসারে গত ২মে প্রথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবনে ক্লাস শুরু করেন। উদ্বোধনের ৮দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভবনটি দখল করে নেয়। বের করে দেয়া হয় প্রাথমিকের শিক্ষাকদেরকে। এসময় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপর মরধরের অভিযোগ করা হয়। পরে বিদ্যালয়ের নিচতলায় প্রাথমিকের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
    প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুমা আক্তার অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার স্টুডেন্টদের নিয়ে সকাল ৯টায় এ্যাসেম্বিলিতে অংশগ্রহণরত থাকা অবস্থায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা ভবনে ঢুকে পরে। সকলকে শান্ত থাকার জন্য বলেছি কিন্তু তারা আমার কথা না মেনে স্কুল ভবনে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ-বই ছুড়ে ফেলে দিতে থাকে। তাদের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষকরা এসে যোগ দেন। পরে তাদের লইব্রেরী থেকে তালা এনে ভবনে লাগিয়ে দেন। এর আগের দিন প্রিন্সিপাল স্যার নিজে ভবনে ঢুকে প্রথমিকের শিক্ষার্থীদেরকে পরের দিন থেকে এই ভবনে আসতে নিষেধ করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।’
    এবিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যাক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভবনটি তৈরি করার আগে আমাদেরকে ব্যাবহার করতে দেয়ার কথা ছিল। ভবনটি আমাদের জায়গায় নির্মিত হয়েছে। আমরা আমাদের পুরোনো ভবন ভেঙ্গে জায়গা দিয়েছি। এখন তারা আমাদেরকে দিতে রাজি হচ্ছে না। তাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গিয়ে ওই ভবনে উঠেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই ভবনে গত কাল গিয়েছিলাম সেটা আমার ভুল হয়েছে।’
    এবিষয়ে প্রথমিক শিক্ষা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভবনটি আমাদের প্রথমিকের। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা খুলে শিক্ষার্থীদের ভিতরে প্রবেশ করতে দিয়েছি। পরে খবর পেলাম আমি চলে আসার পর আবার তালা লাগানো হয়েছে। আমি উপরস্থ কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে জানিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ