• রাজশাহী বিভাগ

    বদলগাছীতে পছন্দের ক্লিনিকে পরীক্ষা না করায় রোগীর সাথে দুর্ব‍্যবহার করলেন ডাক্তার

      প্রতিনিধি ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১১:৪২:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

    নওগাঁ জেলার বদলগাছীতে চিকিৎসাধীন মহিলা রোগীর সাথে
    কর্তব্যরত ডাক্তারের দুর্ব‍্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, নওগাঁর বদলগাছী
    উপজেলার বদলগাছী সদর ইউপির জিধিরপুর গ্রামের জনৈক মিঠু হাসানের স্ত্রী
    ইয়াসমিন আক্তার (৩৩) গত ৩ ফেব্রæয়ারি প্রতিবেশীর দ্বারা আহত হলে ঐ দিনে
    বদলগাছী উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় তার
    মাথার সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেন ডাক্তার মোহাম্মদ আল মামুন দেওয়ান। রোগী
    ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ভর্তি থাকা অবস্থায় ৬ই ফেব্রæয়ারি আমার সিটি স্ক্যান
    করার জন‍্য বললে আমার স্বামী মিঠু হাসান বদলগাছীতে কোনও সিটি স্ক্যান
    মেশিন না থাকায় আমাকে নওগাঁর প্রাইম ল‍্যাবে নিয়ে যায়। সেখান থেকে
    সিটি স্ক‍্যান করিয়ে আসলে ৭ই ফেব্রæয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টার
    দিকে ডাক্তার মোহাম্মদ আল মামুন দেওয়ান রোগী দেখতে রাউন্ডে আসলে আমি
    ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখতে দিলে রিপোর্টটি হাতে নিয়ে আমার মুখ বরাবর
    ছুঁড়ে মারেন এবং বলেন এই ল্যাব থেকে রিপোর্ট করেছেন কেন। ল‍্যাব এইড থেকে
    সিটিস্ক্যান করতে বলা হয়েছিল সেখানে করেন নাই কেন। বলে রিপোর্টটি না
    দেখেই রাগান্বিত হয়ে তিনি চলে যান। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানকালে
    পাশর্^বর্তী বেডের রোগী পিংকি’র সাথে এ ব‍্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন ১৯
    নং বেডের রোগীর সিটিস্ক্যান রিপোর্ট হাতে নিয়ে রাগারাগি করে
    রিপোর্টটি ফেলে দেয় এবং আমার রিপোর্টটিও ফেলে দেন এবং অন্য রোগীর
    সাথেও খারাপ ব্যবহার করে কোনও পরামর্শ না দিয়েই চলে যান ডাক্তার আবদুল্লাহ আল
    মামুন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রোগী এবং হাসপাতালের স্টাফ বলেন,
    সমাজসেবা অফিসের প্রতিবন্ধী জরিপ ফরমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা স্বাক্ষর নিতে
    আসলেও ডাক্তার মোহাম্মদ আল মামুন দেওয়ান বিড়ম্বনাসহ দুর্ব্যবহার করেন।
    ডাক্তার মোহাম্মদ আল মামুন দেওয়ান এর সাথে এবিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে
    তিনি বলেন, রোগীর সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। তবে সামান্য ভুল বুঝাবুঝি
    হয়েছে মাত্র। প্রতিবন্ধী জরিপ ফরমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা স্বাক্ষর নিতে আসলে তাদের
    সাথেও আপনি দুর্ব্যবহারের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকেই অন্যায়
    আবদার নিয়ে আসে। আমি একজন ডাক্তার হিসেবে সবাইকে তো প্রতিবন্ধী
    হিসেবে শনাক্ত করতে পারি না। তাই অনেকেই মন খারাপ করে এর বাহিরে কিছু না।
    এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ কানিজ ফারহানা বলেন,
    এব্যাপারে আমার কাছে কেউ কখনো অভিযোগ করেনি। আর এ ধরনের ঘটনা ঘটলেসর্বপ্রথম আমারই জানার কথা। এই প্রথম আপনার কাছে জানতে পারলাম। তবে তদন্ত
    সাপেক্ষে তার বিরূদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ