• কৃষি

    পোরশায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা-উপজেলা কৃষি বিভাগ।

      প্রতিনিধি ৫ নভেম্বর ২০২১ , ৪:২০:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শাহআলম-পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

    নওগাঁর পোরশা উপজেলার চারিদিকে এখন সবুজের সমারহ। উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন রোপা-আমন ধানের শীষে সবুজ রঙ্গের বর্ণিল সমারহ। ঐ সবুজ রং বলে দেয় গ্রামবাংলার কৃষকদের মাথার ঘাম পাঁয়ে ফেলা রোপা-আমন ধান চাষের দৃশ্য আর নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দ। ধান গাছের মাথা বেয়ে এখন কাঁচা শীষ বের হচ্ছে। আবাদ আর গাছ দেখে চলতি মৌসুমে রোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলনের বুক ভরা আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতিতে আগাম ধান চাষ করায় এবং এখন পর্যন্ত কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় জমিতে ধান অনেক ভাল রয়েছে।

    এলাকায় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা তাদের নিরব আক্ষেপের কথা জানান। কীটনাশকের কার্য্যকারিতা কমে যাওয়া অধিক দাম, সেই সাথে আশানুরুপ ফলাফল না পেয়ে বারবার জমিতে কীটনাশক স্প্রের কারনে খরচ বেশী,সরকারী সাহায্য ব্যাক্তি ভেদে দেওয়া,পকৃত কৃষককে সরকারী ভুর্তুকি না দেওয়ার সাথে দলীয় করন বহুবিধ সমস্যার কথা বলেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে। নানাবিধ সমস্যার মাঝেও নিজের উৎপাদিত ফসলকে আকড়ে ধরে নিজের জিবন সংসার পরিচালনার যে গুরু দায়িত্ব সেটা থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রানের উপায় খুঁজতে থাকেন। শত সমস্যার মাঝেও তারা নিজের ঘাম ঝরিয়ে বাংলাদেশ কে খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন করার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতি নিয়ত।

    কৃষক হলো বাংলাদেশের প্রান তাদের সুযোগ সুবিধাদি বাড়াতে পারলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর তাদের এই পরিশ্রমের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে এগিয়ে যাচ্ছে সরকারি কৃষি বিভাগ। তাদের উৎসাহ দিয়ে নতুন ফসল উৎপাদনের জন্য যোগাযোগ রেখে চলেছে প্রতি নিয়ত।আর তাই কৃষকরা এবারে বাম্পার ফলনের আশাও করছেন। আর প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরই রোপা-আমন ধান পাকার সম্ভাবনা দেখে ক্ষেতে কৃষকদের স্বপ্ন যেন দোল খাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউপিতে ১৬হাজার ৬শ হেক্টর আবাদী জমিতে ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হলেও নতুন নতুন আম বাগান গড়ে উঠায় আর আবাদী জমি কমে যাওয়ায় আমন চাষ হয়েছে ১৫হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে।

    আমনের উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা না হলেও এবছর লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে ধানের উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের নিয়ে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ধানের রোগ বালাই দমনে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ধানে পোকা দমনের জন্য ব্যাপাক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। চাষী বা কৃষকদের সাথে মাঠ পর্যায়ে মতবিনিময়, উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরন ও আলোক ফাঁদ ব্যবহার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কৃষি দপ্তর। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আর সঠিক সময়ে চারা রোপন করায় এবং কৃষকরা তার সঠিক পরিচর্যা করায় এবারে ধানের গাছ এখন পর্যন্ত দেখার মত হয়ে রয়েছে।

    আর তাই কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করেছেন মাঠ পর্যায়ে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।উপজেলার সহড়ন্দ গ্রামের কৃষক ফরহাদ হোসেন জানান, সময়মত আকাশের পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় এবছর ধান বেশ ভাল রয়েছে। এবারে ধানের ফলন বাম্পার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। যেন অনান্য বছরের মত এবারেও ধানের ফলন বাম্পার হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, এবারে ধানের গাছ ভাল রয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। জমি থেকে কৃষকের ঘরে তোলা পর্যন্ত ধান যেন ভাল থাকে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। এবছর পোরশা উপজেলায় ধানের ফলন বাম্পার হবে হবে তিনি আশা করছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ