• লাইফস্টাইল

    পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর গাছ জন্মে বাংলাদেশের আনাচকানাচে

      প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২২ , ৫:৫৪:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
    শজনে ডাঁটা পছন্দ করেন? তাহলে খুশি মনে খেয়ে যান। শজনের আছে বহু গুণ। এতে আছে মূল্যবান খনিজ উপাদান, স্বাস্থ্যকর প্রোটিন আর প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ। শজনের মৌসুম যদিও ক্ষণস্থায়ী, তবে নানা ব্যঞ্জনে তা বাঙালি রসনার জন্য বেশ উপাদেয়। সরষে দিয়ে শজনে বা কই-মাগুরের ঝোলে শজনে ডাঁটা অনেকের কাছে বেশ মুখরোচক। অনেকে শজনে-ডালও খান বেশ মজা করে।

    সরষেবাটায় শজনে চচ্চড়ি
    ১. হাড় শক্ত করে
    শজনে ডাঁটায় আছে ক্যালসিয়াম, লৌহ ও অন্যান্য ভিটামিন। হাড়ের গঠনে শজনে সহায়ক। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে বা জুস আকারে শজনে খাওয়া যায়। শিশুদের হাড়ের গঠনে শজনে তাই কার্যকরী।
    ২. রক্ত পরিষ্কার করে
    শজনের পাতা ও সবুজ ডাঁটায় রক্ত শোধনের উপাদান রয়েছে। রয়েছে জীবাণুরোধী উপাদান। নিয়মিত শজনের ডাঁটা ঝোল বা জুস আকারে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়।
    ৩. রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়
    শজনের পাতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে পারে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। পিত্তথলির কার্যকারিতা বাড়িয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সাহায্য করতে পারে শজনে।
    ৪. শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে
    কফ, কাশি, গলাব্যথার সমস্যা দূর করতে এক কাপ শজনের স্যুপ খেতে পারেন। শজনেতে থাকা প্রদাহনাশী উপাদান শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে। হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস ও যক্ষ্মার মতো ফুসফুসের রোগের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিষেধক শজনে।

    শজনের পাতাও এক মহৌষধ
    ৫. গর্ভবতী নারীর জন্য উপকারী
    গর্ভবতী নারীদের নিয়মিত শজনে খাওয়া উচিত। কারণ, সন্তান জন্ম ও জন্মের আগে ও পরের জটিলতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে শজনে। দরকারি ভিটামিন ও খনিজ মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে সাহায্য করে।
    ৬. সংক্রমণ প্রতিরোধ করে
    শজনের পাতা ও ফুলে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান থাকে, যা গলা ও ত্বকের নানা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। এতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
    ৭. হজমে সাহায্য করে
    শজনে ডাঁটা ও পাতায় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে, যা হজম-প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হজম-প্রক্রিয়ায় জটিল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও চর্বিকে সহজই ভেঙে ফেলে শজনের এই উপাদান।
    ৮. যৌনস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
    শজনেতে প্রচুর পরিমাণ জিংক থাকে, যা শুক্রাণু উৎপাদন-প্রক্রিয়ায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ