• Uncategorized

    পরিষদে নারী ধর্ষণকারী বাবুর বিরুদ্ধে এবার ভিজিডির সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

      প্রতিনিধি ১৯ মার্চ ২০২১ , ১১:৪৬:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

    জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডধারী উপকার ভোগীদের সঞ্চয়কৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পরিষদ কক্ষে নারী ধর্ষণকারী ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট নাজমুল হক বাবুর বিরুদ্ধে । সুবিধাভোগীদের জমানো টাকা ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাত করেছেন বাবু এমন অভিযোগ সুবিধাভোগীদের। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এই ঘটনার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান,সচিব ও ব্যাংকের ম্যানেজারকে দায়ী করছেন বাবু। জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডধারী ছিলো ৪২০ জন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপকারভোগীর অনুকুলে সরকারি সহায়তার প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডির চাল প্রাপ্তির জন্য ১০ টাকা ফি দিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যাংক এশিয়ায় হিসাব খোলার নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়। ৪২০ জন ভিজিডি কার্ডধারী নিয়ম মেনে ব্যাংক এশিয়া নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদ শাখায় পৃথক পৃথক হিসাব খোলেন। পরবর্তীতে ওই সব উপকারভোগী মহিলাদের প্রত্যাকের ব্যাংক হিসাবের অনুকুলে প্রতিমাসে ২০০ টাকা করে সঞ্চয় জমা দেয়ার পরই কেবল কার্ডধারীদের মাঝে ভিজিডির চাল বিতরন করা হয়। ৪২০ জন নারীর সঞ্চয়কৃত টাকার পরিমান ১১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। গত ডিসেম্বর মাসে তাদের ভিজিডি কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়। কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরতের জন্য আসে দুঃস্থ্য নারীরা। এর মধ্যে ৩৪০ জন নারীর টাকা ফেরত দেয়া হলেও ৮০ জন নারী তাদের জমানো টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। এই নিয়ে পরিষদে একাধিকবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও এর কোন সুরাহা হয়নি। ভিজিডির সুুবিধাভোগী বিনোদের চর গ্রামের খাজিদা বেগম, মর্জিনা বেগম,নতুন বাজার এলাকার করিফুল, দক্ষিন বেপারী পাড়া গ্রামের এহিয়া ও জানকিপুর গ্রামের নুর নাহার বেগম জানান, অনেক কষ্ট করে টাকা জমা দিয়েছি। কিন্তু সঞ্চয়ের টাকা ফেরত পাচ্ছিনা। ১৫ দিন যাবত শুধু আমাদের ঘুরাচ্ছে । ইউপি সচিব বজলুল করিম বলেন, নিলাক্ষিয়ায় ৪২০জন ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থ মহিলার সঞ্চয় করার সব টাকা ডিজিটাল উদ্যোক্তা নাজমুল হক বাবুর মাধ্যমে ব্যাংক এশিয়ায় জমা রাখা হয়েছে । ৩৪০জনের টাকা ফেরত দিলেও ৮০ জনের টাকা দিতে না দিয়ে টালবাহনা করছে । বাবুর কাছে ভিজিডির হিসাব চাইলে আমাকে হুমকি দেয় । ব্যাংক এশিয়ার উপজেলা ম্যানেজার আবদুল মান্নান বলেন, ইউপি’র উদ্যোক্তা নাজমুল হক বাবু ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট। সে এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনা করে। ভিজিডি কার্ড ধারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও সে জমা দেয়নি। এই কারনেই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াছমিন জানান, বিষয়টি আমি শোনার পরই দ্রুত সুরাহার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার বলেন,নাজমুল হক বাবু এশিয়া ব্যাংকের এজেন্ট। তার মাধ্যমে ভিজিডি কার্ডের সঞ্চয় এর টাকা জমা হয়। বাবু টাকা ফেরত না দিয়ে বার বার সময় নিচ্ছে। তিনি আরো অসহায় দুস্থ মহিলাদের টাকা কেহ আত্মসাত করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত নেয়া হবে। নাজমুল হক বাবু পরিষদে নারী ধর্ষণ করার কারণে জেলে যায় এবং তাকে উদ্যোক্তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ