• আইন ও আদালত

    তানোর বেকারিতে নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন

      প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩:১১:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া গ্রামের আদ্যনাথ হালদারের বাড়ির তানোর বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, তানোর বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপকরণ এবং অনুমোদনহীন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে পাউরুটি, কেক, রোলক্রীম, বিস্কুটসহ বিভিন্ন রকমের মুখরোচক রসালো খাবার। ময়দা ও ডালডা দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাখন। কেকের জন্য তৈরী মিশ্রিত ময়দার ড্রামে অসংখ্য মশা মাছি পড়ে থাকতে দেখা গেছে, একই পোড়া তেল দিয়ে বারবার ভাজা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের রসালো শিশুখাদ্য এসব পণ্য উপজেলা বিভিন্ন এলাকাসহ রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। এসব খাবার খেয়ে ছোটো ছোট ছেলে-মেয়েরা ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারিগর বলেন, এখানে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রী ঢাকায় পাঠানো হয় এবং অল্প কিছু উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের দোকানে বিক্রি করা হয়।
    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তানোর বেকারির কারখানায় অনুমোদনহীন কেমিক্যাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি খাদ্যপণ্য। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় উৎপাদন ও মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এইসব বেকারি খাদ্য।বেকারি খাদ্য তৈরি কারিগরদের কোন প্রকার স্বাস্থ্য পরিক্ষা না করে, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে মাস্কবিহীন ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে খালি হাতেই তৈরি করছেন এসব খাদ্যপণ্য। এতে করে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। নিরাপদ খাদ্য ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার আইন সংরক্ষণ ২০০৯ এর আওতায় এনে তানোর বেকারির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এবিষয়ে জানতে চাইলে বেকারি মালিক উজ্জ্বল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম মেনে বেকারি চালানো হচ্ছে। এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মাসুদ বলেন, তারা কোনো অভিযোগ পাননি,তবে দ্রুত ব্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ