• Uncategorized

    পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার চরগরবদি খেয়া পারাপার পুনরায় বন্ধ করে দিল দুর্বৃত্তরা!

      প্রতিনিধি ৮ মে ২০২১ , ১:৪২:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি/

    পটুয়াখালীর দুমকি-বাউফল সড়কের চরগরবদি খেয়াঘাটের (জেলা পরিষদের ইজারাকৃত) খেয়া পারাপার পুনরায় বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় একদল দুর্বৃত্তরা।অদ্য ৮ ই, মে শনিবার সকাল ৬ টার দিকে বগা ফেরিঘাট প্রান্তে সুলতান সিকদার, আবুল চৌকিদার, ভোম সোহেল, সরোয়ার মৃধা, সোহেল গাজী, জলিল মুন্সী, মিজানুর রহমান হাওলাদার সহ ৮/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে চাঁদা দাবী করে।

    উক্ত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় চক্রটি আব্দুল মান্নান মাঝিসহ চারটি ট্রলার জিম্মি করে। আব্দুল মান্নান মাঝির সাথে থাকা পনের হাজার টাকা মারধর করে ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন মান্নান মাঝি। পরে তিনটি ট্রলার ছেড়ে দিলেও মান্নান মাঝির ট্রলারটি এখনও জিম্মি করে রেখেছে সন্ত্রাসী চক্রটি।

    চাঁদা, মারধর ও ট্রলার জিম্মির অভিযোগ অস্বীকার করে বগা ফেরিঘাট প্রান্তের সুলতান সিকদার বলেন, এ অভিযোগ গুলি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন, ফেরিঘাটের ইজারা আমরা পেয়েছি, তারা খেয়াঘাট তৈরী করেই খেয়া পারাপার করুক, ফেরীর পণ্টুনে কেন? ফেরীর ইজারার সাথে জেলা পরিষদের ঘাট ইজারার কোন সম্পর্ক নেই।

    এব্যপারে সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে দেখাযায় দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বাক্য বিনিময় চলছে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দুমকি থানার এস.আই রাজীব দুই পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করে। তিনি চলে আসলে পুন:রায় দুই পক্ষের মধ্যে আবার বাক্য বিনিময় শুরু হয়। এতে যে কোন সময়ই দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

    কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে শনিবার (০৮ মে) সকাল ৯টায় চরগরবদি ফেরীঘাটে গিয়ে জরুরী পণ্য ও রুগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য ফেরী চলাচল করতে দেখা গেলেও খেয়া পারাপার বন্ধ দেখা যায়। খেয়া পারাপারের নৌকা ও ট্রলার গুলো পণ্টুণের দক্ষিণ পাশের্^র চরে বেঁেধ রাখা হয়েছে। খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি দরিদ্র পীড়িত খেয়া নৌকার মাঝি পরিবারে হাহাকার লেগেছে। খেয়া নৌকার মাঝি মান্নান জানান, দুবৃত্তরা পন্টুনে খেয়ার নৌকা ভেরাতে দিচ্ছে না। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে আমাদের নৌকা-ট্রলার বন্ধ করে দিয়েছে।

    একই অভিযোগ চরগরবদি ফেরিঘাটের রাসেল মিয়া, সুমন মুন্সী, সবুজ হাং, আলামিন, জাহাঙ্গীর হাওলাদারসহ অন্যান্য মাঝিদের। মাঝিদের অভিযোগ, করোনা মহামারি এবং কঠোর লকডাউনের সময় খেয়াপারাপার করে কোন রকম সংসার চালাই, এখন খেয়া বন্ধ করায় ছেলে মেয়ে স্ত্রী-পরিজন নিয়ে না খেয়েই মরতে হবে!
    খেয়াঘাটের ইজাদারাদার মো: নূরুজ্জামান খান অভিযোগ করে বলেন, সড়ক ও জনপদের ঘাট জেলা পরিষদের জায়গায়।

    সরকারের দু’টি দপ্তর সমন্বয় করেই ইতোপূর্বে ঘাট পরিচালিত হয়েছে। চলতি পহেলা বৈশাখ থেকে নতুন ডাক (ইজারা) না পাওয়ার ক্ষোভে দুর্বৃত্তরা পণ্টুণে খেয়া ভেরাতে দিচ্ছে না। তারা দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে জোড়পূর্বক খেয়া মাঝিদের ভয়ভীতি ও মারধর করে খেয়াপারাপার বন্ধ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য গত ০৫এপ্রিল এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে খেয়াপারাপার বন্ধ করে রেখেছিল অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।

    এরপর উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ এক মাস পর ০৫মে খেয়াপারাপার শুরু হলেও ০৮মে পুনরায় খেয়াপারাপার বন্ধ করে দেয় অভিযুক্তরা। এ ব্যাপারে দুমকি থানায় অভিযোগ দিলেও তারা মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে দাবী করেন খেয়া ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, মৌখিক অভিযোগ শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ