• রাজশাহী বিভাগ

    নাটোরের সিংড়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর চান প্রতিবন্ধী শফিকুল।

      প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২২ , ২:১৮:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোস্তফা প্রামানিক সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষের একটি ঘর চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানিয়েছেন নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ৫নং চামারী ইউনিয়নের গোটিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে প্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলাম।

    সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম (৪৪) গত ২৪বছর যাবৎ পঙ্গু হয়ে আছে এবং তার শরিলে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় ২/১ মাস পর পর রক্ত দিতে হয়। কোন মত পাটকাঠির বেড়া ও ছাউনী সিহাবে ভাঙ্গা টিন ও পেপার দিয়ে কোন মত দিন কাটাছেন তারা। ছোট্ট ১ টি ছেলে ও ১ টি মেয়ে নিয়ে ভাঙা ঘরে খেয়ে না খেয়ে কোনমত দিন কাটাচ্ছে তার পরিবার । অন্যের বাড়ি থেকে সাহায্য সহযোগিতা করেই এখন চলে তার সংসার। স্ত্রীসহ রয়েছে দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে শফিকুল একই ঘরে থাকেন । সেই ঘরটির জরাজীর্ণ অবস্থা।

    প্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলাম বলেনন,শুনেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা অনেক মানুষকে ঘর দিয়েছেন আমিও একটি ঘর চাই, ঘরটি পেলে আমার দুঃখ ঘুচতো, ছেলে-মেয়েগুলোকে নিয়ে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই হতো।
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষের একটি ঘর চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এভাবেই আকুতি জানান তিনি। একটা ঘরই তার স্বপ্ন। উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার থেকে যে জায়গাটুকু পাবেন তাতে যদি কেউ একটা ঘর করে দিতো তাহলেই তার স্বপ্নপূরণ হতো।

    শফিকুল আরো বলেন , বড় ছেলেটির বয়স ২২ বছর সে বিয়ে করে আলাদা থাকে। এবং মেয়েটার বয়স ১৩ বছর, ছোট ছেলেটির বয়স ৬ বছর, কোনো ধরনের ঠাসাঠাসি করে একই কক্ষে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে থাকছি। মেয়ে বড় হচ্ছে তাকে আলাদা একটা ঘর দিতে পারছি না।

    শফিকুলের বাবা আমজাদ বলেন,আমার বড় ছেলে
    ছেলে শফিকুল শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না ,জন্মের ২০ বছর বয়সে প্যারালাইসিস হয়, সেই থেকেই বিকলাঙ্গ।
    আস্তে আস্তে বড় হয়ে উঠলেও শারীরিক অক্ষমতা কাটেনি। হাঁটাচলা ঠিকমতো করতে পারে না,
    অন্যের পুকুর পাহাড়া দিয়ে সামান্য ১৫০০থেকে ২০০০ টাকা বেতনে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে সংসার চালায়।

    শফিকুলের স্ত্রী আন্জুয়ারা বেগম বলেন, তার প্রতিবন্ধী,অসুস্থ স্বামী নিয়ে বাঁচতে চান। তাই পরিবারটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএস সামিরুল ইসলাম মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘরের জন্য প্রাণের আকুতি জানিয়েছে।

    তিনি আরো জানান কোনো ক্রমেই আমার পক্ষে একখণ্ড জমি ক্রয় বা থাকার ঘর তৈরি করা সম্ভব না। সে আক্ষেপ করে জানান লোকজন মারফত জানিতে পেরেছি, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার মা শেখ হাসিনা জমি ও ঘর উপহার দিচ্ছেন। ইউএনও স্যারের মাধ্যমে বহু মানুষ ইতিমধ্যে জমি ও ঘর পেয়েছে, তারা সেখানে বসবাস করছে, আপন ঠিকানা পেয়েছে। আর আমি ঘরের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমার কোনো ঠিকানা নাই। আমি স্থানীয় অনেকের কাছে বলেছি কিন্ত কেউ আমার দুঃখ কষ্ট বোঝেনি। একজন অসহায় গৃহহীন ও ভূমিহীন অসহায় মানুষ তাই মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ইউএনও এমএম সামিরুল ইসলাম স্যারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই। তা না হলে আমি ও আমার পরিবার খোলা আকাশের নীচে থাকা ছাড়া উপায় থাকবে না।

    গোটিয়া গ্রামের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক আগের দিনের পুরোনো টিনের ঘর। অনেক জায়গায় তৈরি হয়েছে ফুটো, সেই ফুটো দিয়ে ডুকছে বাতাস, বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি ঘড়ের মেঝেতে জমে থাকে। এই ঘড়ে সীমাহীন কষ্টে কাটছে তাদের জীবন। এই ব্যাক্তি প্রতিবন্ধী ও অসহায় এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে আসছে। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চলনবিলের কৃতি সন্তান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির হস্তক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেলে আমরা গোটিয়া বাসী অনেক খুশি হতাম।

    এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী পরিবারের সদস্যরা সৎ, বিচক্ষণ ও একজন মানবিক আই সি টি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ