• রাজশাহী বিভাগ

    তানোর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল রাতারাতি খোলস পাল্টিয়ে হয়েছেন আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্খি

      প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০:২৯:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি :

    রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়ন ( ইউপি) বিএনপির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল রাতারাতি খোলস পাল্টিয়ে হয়েছেন আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্খি। আর এতেই তার একাদ্বশে বৃহস্পতি তুঙ্গে।
    বিনিময়ে পেয়েছেন খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার, হয়েছেন বিএডিসি বীজ-সার ডিলার সমিতি ও বাজার কমিটির সভাপতিসহ লাভজনক নানা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার বলে মনে করছে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ। অথচ বিএনপি সরকারের সময় তিনি যেই সুযোগ-সুবিধা পাননি আওয়ামী লীগের সময়ে তার দ্বিগুন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
    স্থানীয়রা জানান, কামারগাঁ ইউপি বিএনপির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল ছিলেন বিএনপির অর্থের যোগানদাতা। ফলে বিএনপির সময়ে তিনি ছিলেন কামারগাঁ ইউপির সর্বেসর্বা। কিন্ত্ত আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাতারাতি বিএনপি ত্যাগ করেন। যদিও গোপণে তিনি এখানো বিএনপির রাজনীতিতে আর্থিক সহায়তা করছেন। ফলে খোলস পাল্টানো বিএনপি নেতাকে এমন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ায় ফুঁসে উঠেছে আওয়ামী লীগের আদর্শিক
    নেতাকর্মীরা। এখানেই শেষ না ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ, ঈদ এবং বড় দিনের সরকারী বরাদ্দের চাউল কিনে মজুত ও তার নিজস্ব চাতালে সেই চাউল পালিশ করে সরকারি খাদ্যগুদামে সরবরাহ করেছে।
    জানা গেছে, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন জুয়েল বিগত ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হয়ে পরপর দুবার ইউপি নির্বাচন করে দুবারই পরাজিত হয়েছেন। কিন্ত্ত ২০২১ সালে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আওয়ামী লীগের ভর করে,তাদের মনোনীত প্রার্থীকে আর্থিক সহায়তাসহ তার পক্ষে কাজ করেছেন। পুরুস্কার স্বরুপ তাকেও তিনি পকেটে পুরে এখন সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। বলতে গেলে এই জুয়েল এখন ইউপি আওয়ামী লীগের বিঁষফোঁড়া, তার কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বহুধারায় বিভক্ত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, দলের কিছু নেতা জুয়েলের অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে তারা তাকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন, তবে এখানো তার শরীরে বিএনপির গন্ধ রয়েছে, আবার গোপণে বিএনপির সঙ্গে সক্ষতাও ধরে রেখেছেন। তিনি বলেন, একশ্রেণীর আওয়ামী লীগ নেতার মদদে জুয়েল বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাপথে সার এনে মজুদ ও দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে, আর তার কারণে সাধারণের মাঝে সরকার নিয়ে নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হচ্ছে, এর দায় নিবে কে ?। এবিষয়ে জানতে চাইলে জাকির হোসেন জুয়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা মানুষের ভাল সহ্য করতে পারে না, তারাই এসব ভিত্তিহীন কথা প্রচার করে। এদিকে বিএনপি নেতা হয়ে জুয়েল আওয়ামী লীগের সময়ে কি বিবেচনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার নিয়োগ পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে কামারগাঁ ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ বলেন, ডিলার দেওয়ার মালিক আমি না, যিনি মালিক তিনি দিয়েছেন, আপনি তার তদবির করেছেন বলে নেতাকর্মীরা বলছে প্রশ্ন করা হলে তিনি অস্বীকার করে বলেন এসব অপপ্রচার।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ