• রাজশাহী বিভাগ

    তানোরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

      প্রতিনিধি ১০ জানুয়ারি ২০২২ , ৬:৩০:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আজ ১০ জানুয়ারী বাঙালী জাতির জনক ও মহান স্বাধীনতার স্থপত্তিবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
    স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়েছে।জানা গেছে, আজ ১০ জানুয়ারী (সোমবার) বিকেল ৩ টার সময়,উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে থানার মোড়স্থ চৌরাস্তায় বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত ও স্বাধীনতার মহান স্থপত্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়।

    এতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরীফ খাঁনের সভাপতিত্বে ও তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং তানোর পৌরসভা আগামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার-এর উপস্থাপনায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আলোচনা সভায়প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাবেক শীল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষ থেকে তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ; তানোর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার, তানোর উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান আবুবাক্কার।সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; তানোর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম।

    অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন; উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ও রাম কমল সাহা, মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমিন, কামারগাঁ ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী ফরহাদ, চাঁন্দুড়িয়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, পাঁচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, কলমা ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, বাধাঁইড় ইউপি আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সরনজাই ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব সাইদুর রহমান সরকার-আবু সাঈদ, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজির হাসান প্রতাপ সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আবুল বাসার সুজন, বদিউজ্জামান নয়ন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য রামিল হাসান সুইট, তানোর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম এবং মোর্শেদুল মোমেনিন রিয়াদ, পঙ্কজ হালদার ও মাহাবুর রহমান ওরফে মাহাম প্রমুখ।

    এছাড়াও আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
    সাংসদ প্রতিনিধি, প্রধান অতিথি; ময়না চেয়ারম্যান বলেনঃ-
    সংগ্রামীনসাথি ও বন্ধুগন আপনারা জানেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আজ ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে।আজ ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিন!
    বাংলা ও বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ফিরে আসেন।

    ১০ জানুয়ারি মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাসের একটি বিশেষ মাইলফলক। ১৯৪৭ সালের দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূর্ববাংলার মানুষকে নতুন করে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তেজোদীপ্ত নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রামের পথ-পরিক্রমায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাঙালি জাতি।

    ১৯৭১ সালের (৭মার্চ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম) খ্যাত” স্বাধীনতার সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের নির্দেশনা ও আহ্বান এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করে রাখে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে বাঙালি জাতি দখলদার পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, আড়াই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে।

    ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জিত হলেও, বাঙালি জাতির বিজয়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখনো পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় অফ অপূর্ণতার বিদগ্ধ-বিষাদে নিমজ্জিত ছিল সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের ভূখণ্ডের আকাশ।১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাক কারাগার থেকে মুক্ স্বাধীন বাংলাদে আসার মাধ্যমে সে বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে প্রতি মুহূর্ত মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতে লন্ডন দিল্লি হয়ে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাঙালির ইতিহা বরপুত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
    তাঁর সুযোগ কন্যা দেশন শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তানোর এর কৃতী সন্তান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়েতুলার লক্ষে সকল বাধা উপেক্ষা করে সম্মিলিতভাবে সামনে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ