• আমার দেশ

    টিউবয়েল মিস্ত্রীর হাতে আলাদীনের চেরাগ!

      প্রতিনিধি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪:৩৬:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

    রাজশাহীর তানোর পৌরসভার টিউবয়েল মিস্ত্রী ওমর আলী পদোন্নতি পেয়ে হয়েছেন অফিস সহায়ক। স্থানীয়রা জানান, পদোন্নতির পরেই তার হাতে এসেছে আলাদীনের চেরাগ, হয়েছেন আকাশচুম্বী ক্ষমতার অধিকারী। তিনি অফিস সহায়ক হয়েও অর্থের বিনিময়ে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের প্ল্যান পাশ করিয়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হয়েছেন টাকার কুমির।
    জানা গেছে, তানোর পৌরসভার মুন্নাপাড়া গ্রামের মৃত দিদার আলীর পুত্র ওমর আলী, বিগত ১৯৯৯ সালে টিউবয়েল মিস্ত্রি হিসেবে পৌরসভায় যোগদান করেন। কিন্ত্ত গোপণে তিনি তার নেতৃত্বে পৌরভবনে একটি সিন্ডিকেট চক্র সৃষ্টি করেন। তার একচ্ছত্র আধিপত্যর কাছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসহায় হয়ে পড়েছে। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ দীর্ঘদিন ধরে
    ওমর আলীর বদলির আবেদন-নিবেদন করে আসছেন। কিন্ত্ত অজ্ঞাত কারণে এবিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এদিকে পৌরসভার হঠাৎপাড়া, কালীগঞ্জহাট, তালন্দ ও গোল্লাপাড়া মহল্লার একাধিক বাসিন্দা বলেন, ইমরাত নির্মাণ বিধিমালা লংঘন করে খাস সম্পত্তি, ভিপি সম্পত্তি ও পুকুর ভরাটকৃত জায়গায় টাকার বিনিময়ে পাকা বাড়ি নির্মাণের প্ল্যান তৈরি করেন তিনি। আর তার করা প্ল্যানে স্বাক্ষর করেন মেয়র ও সহকারী প্রকৌশলী সরদার জাহাঙ্গীর। এসব কারণে ওমরের দ্রুত বদলিসহ তার সম্পদের তদন্তের দাবি তুলেছেন পৌরবাসী।
    জানা গেছে, বিগত ১৯৯৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এলাকাবাসীর মতামত উপেক্ষা করে রাজনৈতিক বিবেচনায় তানোর পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হয়। পৌরসভার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, ওমর আলী সিন্ডিকেট মেয়র ও সহকারী প্রকৌশলীকে জিম্মি করে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছেন।
    তিনি টাকার বিনিময়ে খাস ও ভিপি সম্পত্তি এবং পুকুর ভরাটের জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণের প্ল্যান করেন।আর তার করা প্ল্যানে স্বাক্ষর করেন মেয়র ও সহকারী প্রকৌশলী।
    এবিষয়ে জানতে চাইলে ওমর আলী জানান আমি প্ল্যান করলেও ডিজাইন করে দেন কর্মকর্তারা। আপনি টিউবয়েল মিস্ত্রি হয়ে কিভাবে প্ল্যান করেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন আমার প্রমোশন হয়েছে আমি এখন অফিস সহায়ক। সরেজমিন গত মঙ্গলবার তানোর পৌরসভায় গিয়ে দেখা যায়, মেয়র নাই, সহকারী প্রকৌশলী নাই, দায়িত্বে ছিলেন প্যানেল মেয়র আরব আলী তিনি জানান, নামে দায়িত্বে, মেয়র ঢাকায়। ওমর বাড়ির প্ল্যান করতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি পারেন না, এটা প্রকৌশলীর কাজ, কি বলব, মাস্টার রোলে কয়জন বেতন পায় প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন এটা মেয়র বলতে পারবেন। এবিষয়ে হিসাব রক্ষক আব্দুস সবুর জানান, মাস্টার রোলে ১০ জনকে বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি কারো নাম বলেন নি। মেয়র ইমরুল হককে ফোন দিয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান তোরা পাগল হয়ে গেছিস, এজন্য ভুলভাল কথা বলছিস।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ