• সারাদেশ

    জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী সলঙ্গা পশুর হাট

      প্রতিনিধি ২৬ জুন ২০২৩ , ১০:১৩:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মিজানুর রহমান-সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

    ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদ-উল আজহা। আগামী ২৯ জুন বৃহস্পতিবার ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার ঐতিহ্যবাহী সলঙ্গা পশুর হাট। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই হাট ঐতিহ্য বহন করে আসছে সিরাজগঞ্জ জেলায়। এখানে দেশের বিভিন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন পশু কিনতে। ফলে জেলা ও আশপাশের ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগমনে জমজমাট হয়ে উঠেছে এবারের পশুর হাট।

    উপজেলা ও জেলার গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ও খামারে যত্ন সহকারে লালন পালন করা গবাদি পশু তোলা হয় ঐতিহ্যবাহী এই সলঙ্গা হাটে। কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর চাহিদা পূরণে সলঙ্গা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান । এখনকার স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে কোরবানি পশু রাজধানী ঢাকাসহ চলে যায় বিভিন্ন জেলায়। এ বছর সলঙ্গা থানায় কোরবানি পশুর চাহিদা আছে ৩৬ হাজার ৩৭২টি আর প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৮৩৪টি পশু।

    কৃষকের বাড়িতে দুই-একটি করে লালন-পালন হলেও খামারে রয়েছে অনেক গরু-ছাগল-ভেড়া। অনেক কৃষক সখের বসেই পারিবারিকভাবেই মহিষ পালন করে থাকেন। প্রতিটি বসতবাড়িতেই দুই একটি গরু পালন করা প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেক পরিবারের। সারা বছর গরু পালনের পর এখন এসেছে বিক্রির সময়। গরু বিক্রির টাকায় মিটবে পরিবারের আর্থিক চাহিদা।

    মোঃ নাজমুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলাম। ছুটিতে বাড়ি এসেছে পরিবারের সাথে ঈদ করতে। হাটে এসে দেখি গরু-ছাগলের দাম অনেক বেশি।
    ছাগল ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, সলঙ্গা হাটে বড় ছাগলের খুব চাহিদা। বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছাগল কিনে এনেছি। এবার ছাগলের অনেক দাম।

    হাট মালিক জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার লাবু বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী সলঙ্গা একটি পশুর হাট। প্রায় ২০০ বছরের পুরানো এ হাটে সপ্তাহে ২ দিন সোম ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা আছে। রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, রায়গঞ্জ উপজেলায় এবার কোরবানিযোগ্য প্রায় ১ লাখ ২ হাজার ১৩৪টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এবং রায়গঞ্জ উপজেলার কোরবানির চাহিদা আছে ৫৬ হাজার ৩৩১টি। এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় চাহিদা মেটাবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ