• আইন ও আদালত

    ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে প্রসূতি নারীর মৃত্যু

      প্রতিনিধি ২ মার্চ ২০২২ , ৬:১২:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    আহমাদুল্লাহ হাবিবী-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পিয়ারপুর গ্রামের ফারুক হোসেন এর গর্ভবতী স্ত্রী:নাসিমা খাতুনকে (২৬) গত:০১/০৩/২২ ইং তারিখে বিকাল ৪ টার সময় বাজারের সাদিয়া ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার আব্দুল হান্নানের পরামর্শে সন্ধ্যা:৫ টার সময় অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করানো হয়।পরিবারের দাবি নাসিমা খাতুনকে যখন অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করানো হয় তখন তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন ‌। অপারেশনের ৩০ মিনিট পরে ডাক্তার অপারেশন থিয়েটার হতে বাহিরে আসলে আমরা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করি নাসিমা খাতুন এর অবস্থা, ডাক্তার আমাদের কথার কোন উত্তর দেয় না।

    তারপর আমরা ডাক্তারকে বারবার জিজ্ঞাসা করলে ডাক্তার বলে তোমাদের রোগীর রক্তের প্রয়োজন। আমরা তাৎক্ষণিক আমাদের পরিবারের একজনের মাধ্যমে রক্তের ব্যবস্থা করি। এবং এক ব্যাগ রক্ত দেই। ডাক্তার এক ব্যাগ রক্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ না করে ১০ মিনিট পরে তার দায়িত্বে থাকা অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন এবং খুব তাড়াতাড়ি করে রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়ার কথা বলেন ‌। তখন পরিবারের সবাই ডাক্তারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে ডাক্তার বলেন বাচ্চার অবস্থা ভালো কিন্তু বাচ্চার মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    আমরা বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের কোন কিছু না বলেই এক প্রকার জোর করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে চলে যায়। সেই সঙ্গে আমাদের পরিবারের দুজন অ্যাম্বুলেন্স এর সঙ্গে যায়।প্রসূতিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু সংঘটিত হয়। প্রসূতির অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে প্রসূতির আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিক্ষুদ্ধ সবাই সাদিয়া ক্লিনিক অবরুদ্ধ করে রাখে।

    সংবাদ পেয়ে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।নাসিমা খাতুন এর সিজারিয়ান অপারেশন পরিচালনাকারী ডাক্তার ও সাদিয়া ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডাঃ আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন যে,মূলত আলট্রা সনোগ্রাফির রিপোর্ট ভুল থাকার কারনে অপারেশনে প্রসূতির স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তপাত শুরু হলে নিজ দায়িত্বে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি।

    আলট্রা সনোগ্রাফি রিপোর্টে যেখানে ফুল থাকার কথা, বাস্তবিক অবস্থায় সেই ফুলের অবস্থান অনেক নিচে থাকায় দুঃখ জনক এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অথচ মৃত প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা বলেন নতুন কোনো পরীক্ষা না করেই আগের পরীক্ষার ফলাফল দেখেই ডাক্তার অপারেশন করেন। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত মৃত্যুর প্রকৃত কারন উন্মোচিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ