প্রতিনিধি ৮ জানুয়ারি ২০২১ , ১:৪৭:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মৃগী কি নিরাময় যোগ্য ??? আসুন জানি।
মৃগী মস্তিষ্কের একটি রোগ যার ইংরেজি প্রতিশব্দ Epilepsy। এটি একটি নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুবিক রোগ যার ফলে খিঁচুনি দেখা যায়। আমরা প্রতিনিয়ত যেসব কাজ করি তার জন্য মস্তিষ্ক থেকে সিগন্যাল আসে কিন্তু মৃগী রোগীর সেই সিগনাল সঠিকভাবে আসে না, যার ফলে রোগীর শরীরে কম্পন সৃষ্টি হয়।
খিঁচুনি দেখা যায় ও মাটিতে পড়ে যায়। এটি স্নায়বিক রোগ হওয়ায় একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় নিউরোলজিকাল ডিজিজ বলে। WHO এর তথ্যমতে,বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় 50 মিলিয়ন লোক মৃগী রোগে আক্রান্ত যার মধ্য শতকরা ৮০ ভাগ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে লক্ষ্য করা যায়।
v মৃগী রোগের কারণঃ-
মৃগী রোগের সঠিক কারণ আজও জানা যায়নি। তবে মস্তিষ্কের টিউমার বা সংক্রমণ, জন্মগত ত্রুটি, জিনগত মিউটেশন, মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্সের স্নায়ুকোষের অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভৃতি মৃগীর প্রধান কারণ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এসব কারণে রোগীর খিঁচুনি, আবার অজ্ঞান হতে দেখা যায়।
বংশগত কারণেও এরোগ হয় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে যদি কোনো সংক্রমণ হয় তাহলে তার জটিলতা হিসেবে মৃগী দেখা যেতে পারে, বাচ্চা যদি অনেক কম ওজন বা নির্দিষ্ট দিনের অনেক আগেই জন্ম নেয় তাহলেও মৃগী দেখা যেতে পারে। তবে 70% ক্ষেত্রে মৃগীর কারণ এখনো জানা যায় নি।
v মৃগী রোগের লক্ষণঃ-
মৃগীরোগ কে সাধারণত দুইভাগে ভাগ করা হয়- বড় ধরনের মৃগীরোগ ও মৃদু ধরনের মৃগীরোগ
§ বড় ধরনের মৃগীর লক্ষণঃ-
Ø কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে ।
Ø খিঁচুনি হওয়ার আগে রোগী বুঝতে পারে।
Ø আচরণের পরিবর্তন আসে।
Ø রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ও মাটিতে পড়ে যায়।
Ø রোগীর সব মাংসপেশিতে টান ধরে তখন রোগী চিৎকার করতে থাকে।
Ø খিঁচুনি শুরু হলে মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়।
Ø রোগীর জিহ্বা কামড় দিয়ে ধরে রাখতে পারে।
Ø কখনো রোগীর অনিচ্ছাই পায়খানা প্রস্রাব বেরিয়ে যায়।
Ø ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়,পরে জেগে ওঠার পর কিছুই মনে করতে পারে না।
§ মৃদু ধরনের মৃগীর লক্ষণঃ-
Ø এটি স্বল্পকাল স্থায়ী হয়ে থাকে সাধারণত 10 থেকে 15 সেকেন্ড