• Uncategorized

    একজন বিচক্ষন সাংবাদিক শাহীন আল-আমীন এর আত্যকথা 

      প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২০ , ৭:১০:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    সাদ্দাম হোসেন মুন্না-স্টাফ রিপোর্টার:

    সাংবাদিক এবং গনমানুষ,দৈহিক না হলেও অভিভাবকের আদলে সম্পর্কের দাবীদার,সাংবাদিক শব্দের আরো একটু বিন্যাস ঘটালে বলা যায় সাংবাদিকরা সমাজের বিবেগ অথবা দর্পণ।

    বিশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা আরো বেশকিছু সংজ্ঞা দিয়েছেন তার মধ্যে একটি হলো সাংবাদিকরা একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।এখন প্রশ্ন হলো সাংবাদিকদের নিয়ে বিশ্বের বিশ্লেষকগনদের এতো বিশ্লেষণ ব্যাখা থাকার স্বর্থেও নানা সময়ে কেন সাংবাদিকরা সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক নির্যাতন নিপিড়নের শিকার হয়ে থাকেন।

    নাকি লেজুড়বৃত্তি সাংবাদিকতার কারনে এই অবস্থা।যে মানুষটি অবহেলীত সমাজের সেবায় নিজেকে উজার করে জীবন যৌবন বিলিয়ে দিয়েছে সত্য প্রকাশে নির্ভিকতার পরিচয়ে অটল রয়েছেন অথচ প্রতিদিন প্রতিক্ষন প্রতিমুহুর্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক হামলা মামলা জেল জুলুমের শিকার হচ্ছেন।হে তিনি বকশীগঞ্জের সাংবাদিকতায় যার সহজ পরিচিত সাংবাদিক শাহীন আল-আমীন। অঢেল জ্ঞান এবং ত্যাগ বিলিয়ে দেওয়া এই মানুষগুলো আছে বলেই অবহেলীত জনগোষ্ঠীর সংকটময় ক্রান্তিকালেও সাংবাদিকতার সুফল ছড়াচ্ছে নিগৃহীত সমাজে।আর কিছু স্বার্থনেষী অর্থ লোভী পন্ডিতরা মনে করেন সমাজে সাংবাদিকের অবাধ বিস্তার না থাকাই ভালো।ওদের স্বাধীনতা ভোগের প্রয়োজনে নীতিবান প্রতিবাদী সাহসী সাংবাদিক গুলোর বিলুপ্তি হওয়া দরকার।

    সাংবাদিক শাহীন আল-আমীন শুধু সাংবাদিক ওই নয়,দৈনিক ইত্তেফার পত্রিকার বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি,এশিয়ান টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক গনজয় পত্রিকার সম্পাদক ছাড়াও একাধারে সাংবাদিক সাহিত্যিক,শিক্ষক,স্কুল পরিচালক,মানবাধিকার কর্মী,একাধিক বার সরকারী একটি স্কুলের সভাপতিত্বের দায়ীত্ব,একাধিক বার প্রেসক্লাবের সভাপতিত্বের দায়ীত্ব পালনসহ অসংখ্যা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সঙ্গে দায়ীত্ব পালনের সফল দাবীদার তিনি।

    তিনি তার পেশাগত দায়ীত্ব পালন করতে গিয়ে জীবনে বহুবার হামলা মামলার শিকার হয়েছেন,সম্প্রতি বকশীগঞ্জ মেরুরচর গ্রামের এক নির্যাতিত দরিদ্র পরিবারের পক্ষ নেওয়ায় নির্যাতনকারী মামলাবাজ পরিবার কর্তৃক দায়ের করা একটি মিথ্যা মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে কারাবন্দী রয়েছেন।তাই মাঝে মাঝে মনে হয় সাংবাদিকতা কেন করতে হবে,সাংবাদিকতা যদি রাষ্ট্রের বিবেক  বা দর্পণ হয় তাহলে বিনা অপরাধে জেল জুলুম কেন।

    তবে সাংবাদিকতার আড়ালে কেউ যদি অপরাধে জড়িয়ে পরে তাকেও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিন্ত করবে,রাষ্টের কি এতটুকু সঠিক নির্ভুল তদন্ত করার শক্তি নেই অবশ্যই আছে।সাংবাদিক শাহীন আল-আমীন জেলহাজতে থাকা বা তার মৃত্যু হয়ে যাও কারো কোন ব্যথিত হওয়ার কারণ নেই,তিনিও দুনিয়া থেকে বিদায় নিবেন তার সঙ্গে বিদায় নিবেন মানবতার একটি বর্ণ সাংবাদিক শাহীন।এতে রাষ্ট্রের কাছে এতটুকু প্রত্যাশী করতেই পারি,ধ্বংস হোক অপশক্তির,মানবতা বেঁচে থাক অবাধ বিচরণে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ