• Uncategorized

    ভুমি অফিসের চেইনম্যানের ঘুষ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল

      প্রতিনিধি ২২ মার্চ ২০২৩ , ৭:৪৭:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মহসিন মীর বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

    পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা ভুমি অফিসের চেইনম্যান বজলুর রহমানের ঘুষ নেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, চেইনম্যান বজলুর রহমান এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে গুনছেন। টাকা গুনে শেষ করার পর হাসি মুখে পকেটে রাখছেন। অফিসের মধ্যে টেবিলে বসে ঘুষ নেয়ার ৩৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অনেকে নেতিবাচক কমেন্ট করেছেন। রাজীব নামের একজন কমেন্টে লিখেছেন ‘সামনে ঈদ টাকা লাগবে’। ইলিয়াস হোসেন নামের একজনে লিখেছেন,‘ওনাকে আইনের আওতায় আনা হোক’। উপজেলা ভুমি অফিস সূত্র জানায়, নামজারি করার জন্য ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা নেয়া হয় বাউফল ভুমি অফিসে। ঘুষের টাকা নিজ হাতে আদায় করেন চেইনম্যান বজলু। টাকা আদায় ও অফিসের সকল ফাইল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বজলুর রহমানকে। এর জন্য তাকে চেয়ার টেবিল সহ একটি কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা সহকারি কমিশনারের (ভুমি) একান্ত আস্থাভাজন হিসেবেও বজলুর রহমানের খ্যাতি রয়েছে। অফিসের স্বঘোষিত কর্মকর্তা হিসেবে বজলুর রহমানের দাপটের কাছে অসহায় অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক উপ সহকারি ভুমি কর্মকর্তা বলেন, নামজারি করার সকল ফাইল ও খরচ বজলুর কাছে দিতে হয়। এ ও বি ক্যাটাগরি হিসাব করে বজলু প্রতিটি ফাইলের জন্য ঘুষ দাবী করেন। ঘুষের টাকা না দিলে নামজারী করা হয় না। কয়েকদিন আগে বাউফলের অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহআলম ভুমি অফিসের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করেন। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চেইনম্যান বজলুর রহমান বলেন, আমি কোনো ফাইলের দায়িত্বে নেই। ঘুষ বা অনৈতিকভাবে কারও কাছ থেকে টাকা নেয়ার ঘটনা সত্য নয়। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) বায়েজিদুর রহমান বলেন, সিটিজেট চার্টার অনুযায়ী নির্ধারিত ফি নিয়ে নামজারি করা হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়ে কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ