• ময়মনসিংহ বিভাগ

    ত্রিশালে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা।

      প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২২ , ৬:৪৯:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ-ত্রিশাল(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

    ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলায় ভিবিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ও ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা।এর জন্য নেওয়া হয়নি সরকারি অনুমোদন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া,ও ধুলাবালিতে এলাকার জনস্বাস্থ্য এখন হুমকির মুখে।
    বিদ্যালয়ের পাশে ইটভাটা থাকায় দরজা-জানালা বন্ধ করে ক্লাস নিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।এলাকায় ফসলের ফলন ও কমে যাচ্ছে। অবৈধভাবে কাটাছে গাছ বিলীন হচ্ছে ছোট ছোট বনজঙ্গল। উপজেলার বৈলর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমান ঘেঁষেই নির্মাণ করা হয়েছে একটি ইটভাটা ।

    তা ছাড়া পাশের কানহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই তৈরি করা হয়েছে আরও একটি ইটভাটা ।বালিপাড়া,চক রামপুর,গড়ে উঠেছে বিশাল এলাকা জোরে অসংখ্য ইটভাটা
    এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়া আর ধুলাবালিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অস্বস্তিতে থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসন।এই ব্যাপারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘এই ইটভাটা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় বিদ্যালয়ের দরজা-জানালা বন্ধ করে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে হচ্ছে।

    শিক্ষার্থীরা ধুলাবালি ও কালো ধোঁয়ার কারণে স্কুলের টিফিনও ঠিকমতো করতে পারে না। ইটভাটার মালিক স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না।’এই ব্যাপারে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, অনেক সময় ইটভাটার কালো ধোঁয়া ও ধুলাবালিতে স্কুল অন্ধকার হয়ে যায়। তখন স্বাভাবিকভাবে তাদের শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়।
    এলাকার বাসিন্দারা জানায়, বসতবাড়ির পাশে ইটভাটা হওয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে তারা।ক্ষেতের ফসল আর গাছের ফল-ফলাদিও কমে গেছে।

    সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে লোকালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ফসলি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে এসব ইটভাটা ।
    এসব ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি কেটে এনে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে এলাকার ফসলি জমির উর্বরতা শক্তি।
    এতে হ্রাস পাচ্ছে জমির উৎপাদনক্ষমতা।এই ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে ইটভাটার মালিক এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি।

    অন্যদিকে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।বিদ্যালয়ের পাশে ইটভাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ব্যাপারে ওই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি কোনো প্রকার অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের বিভাগীয় পরিচালক বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা অনুমোদনের কোনো নিয়ম নেই। প্রতিষ্ঠানের পাশে দুটি ইটভাটার ব্যাপারে আমার জানা নেই। ইটভাটা বন্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। অচিরেই ত্রিশাল উপজেলায় অভিযান পরিচালনার জন্য আমরা একটি টিম পাঠাবেন বলে জানান ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ