সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনের সংবাদ বর্জন

বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন-স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রশাসনের সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকগণ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে উপজেলার কর্মরত সকল সাংবাদিকদের আয়োজনে যৌথসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।জোষ্ঠ সাংবাদিক শাহজাহান মিঞার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হবি, মোশাররফ হোসেন বুলু, এ মান্নান আকন্দ, ইমান আলী মামুন, একেএম শামছুল হক, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, এমএ মাসুদ, রেজাউল ইসলাম, এন.এইচ. শান্ত, শহিদার রহমান জাহাঙ্গীর, জুয়েল রানা, শাহজান মিয়া, ওমর ফারুক, এনামুল হক, মিজানুর রহমান প্রমুখ।জানা যায়, আসন্ন ২৮ নভেম্বর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে এদিন সকালে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও বিভাগীয় নির্বাচন অফিসার মতবিনিময়ন করেন। আয়োজিত মতবিনিময়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের আমন্ত্রনে উপজেলার কর্মরত কয়েক জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। সভার শুরুতেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ঘোষণা দেয়া হয়, চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যতিত যারা আছেন তারা কেউ মতবিনিময় সভায় থাকতে পারবেন না। এ ঘোষণার পর উপস্থিত সাংবাদিকরা আসন ত্যাগ করে বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের এহেন ব্যবহারের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে উপজেলা প্রশাসনের সকল ধরনের সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক গোলজার রহমান, জাহিদ হাসান জীবন, জয়ন্ত সাহা যতন, ফাহিম হাসান, হারুন-উর-রশিদ রাজু, নুর আলম সরকারসহ উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকগণ।

অপরদিকে, এদিন সন্ধ্যায় মেসেঞ্জার গ্রুপে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ একটি বার্তা প্রেরণ করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ্য করেন, ‘আজকে জেলার সর্বোচ্চ কর্মকর্তাগণ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন’২০২১ উপলক্ষে সুন্দরগঞ্জের ১৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীগণের সাথে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে উপস্থিত হতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। মতবিনিময় সভাটি আরও ফলপ্রসূ করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় প্রতিনিধি ও সাংবাদিকগণকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। সভা চলাকালীন পরিচয় পর্বের সময় প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি’রা প্রার্থী ছাড়া অন্যান্যদের সাথে মতবিনিময় করবেন না মর্মে সিদ্ধান্ত নেন। আমি আমন্ত্রণের বিষয়টি তখন তাদেরকে অবগত করি। কিন্তু তাঁরা প্রার্থী ছাড়া অন্যান্যদের সাথে মতবিনিময়ে অসম্মতি জানান। ফলে উক্ত অনাকাক্সিক্ষত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ অনাকাক্সিক্ষত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’