• Uncategorized

    পীরগঞ্জে বসতবাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা ও ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

      প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২০ , ৭:৫২:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোস্তফা মিয়া-পীরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    রংপুরের পীরগঞ্জের ১নং চৈত্রকোল ইউনিয়নের জলাইডাঙ্গা গ্রামে বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারপিট ও বাড়ী ভাংচুরসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা । এ ঘটনায় দফায় দফায় পুলিশসহ অন্তত ১৫জন গুরুতর আহত হয়েছে, থানায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

    মামলার বিবরনে জানাগেছে, উপজেলার উক্ত গ্রামে মৃত সৈয়দ উদ্দীনের পুত্র এনামূল হক, আমিনুল ইসলাম, ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকটি পরিবাবর পৈত্রিক ভাবে দীর্ঘ ৭০ ধরে জলাই ডাঙ্গা মসজিদ সংলগ্ন একটি জমিতে পাঁকা বসতবাড়ী করে বসবাস করে আসছে। উক্ত বসতবাড়ীতে জলাই ডাঙ্গা পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি ইউনুছ আলী, মোসলেম উদ্দিন, শাহাজান মন্ডলসহ ১৫/১৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল মসজিদের ৩ শতক জমি দাবি করে উক্ত জমিকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

    এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে  এনামূলহক রংপুর আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারার মিছপিটিশন মামলা করেন যার নং (৭৬৫)। এর পরেও উক্ত জমি উদ্ধারের নামে ইউনুছ আলী ও তার লোকজন সংঘবব্ধ হয়ে গত ১৮ই জুন সকালে এনামূল হক ও আমিনুল ইসলাম, এবং মিজানুরের বসত বাড়িতে অর্তকিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও মারধর করে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পুলিশের সাথেও গ্রামবাসীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, এতে অন্তত পুলিশসহ ১৫ জন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় পরে এনামুল হক বাদি হয়ে ২০ জনকে আসামী করে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা  করে মামলা নং-১৭৬/১৯,  এদিকে উক্ত মামলায় আসামীরা জামিন পেয়ে আরও বেপোয়ারা হয়ে উঠেছে।

    এরই জের ধরে ৩ আগষ্ট সন্ধ্যায় এনামূল হকের ভাই লুৎফর ও আহসান হাবিব লেবু, স্থানীয় গোপালপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় প্রতিপক্ষ মোসলেম, শাহাজান, আরিফুলসহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাদের গতিপথ রোধ করে পুনরায়  মারপিট, শ্বাসরুদ্ধ হত্যার চেষ্টা কওে এবং সঙ্গে থাকা নগদ ১ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, এনামূলহক ও জলাই ডাঙ্গা মসজিদের উভয় পক্ষের ওই জমির  সি এস, এস এ, ও আর এস  মাঠ রেকর্ডে নাম আছে।

    অভিযুক্ত মসজিদ কমিটির সভাপতি ইউনুছ আলী বলেন, সি এস,এস এ, আর এস মসজিদের নামে ৯ শতক জমি রেকর্ড আছে। কিন্তু এনামূলের পরিবারের লোকজন দীর্ঘ দিন থেকে ওই জমিটি ভোগদখল করে আসছে। জমিটি উদ্ধার করতে গেলে তারা বাধা প্রদান করায় এই ঘটনার সৃষ্টি হয়।

    এনামুলের ভাই সাইফুল ইসলামের বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল, পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামিম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরিফউর রহমান মন্ডল মিলনসহ বৈঠকে বাড়ি ঘর ভাংচুরে ক্ষতি পূরণের জন্য মসজিদ কমিটিকে  ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের সিদ্বান্ত দেয়।  মসজিদ কমিটি তা দিতে অস্বকৃতি জানালে তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এদিকে ইউনুছ আলীর লোকজন আমাদের বাড়িতে মানুষের মলমুত্র ছিটিয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে।

    গত ৮ আগষ্ট সরে জমিনে দেখতে গিয়ে দেখাযায়, দুর্বৃত্তরা বসতবাড়ী ভাংচুর ও লুটতারাজ করেই ক্ষান্ত হয়নি, পুরোবাড়ীর জানালা, দরজা, আঙ্গিনা ও বারান্দায় মানুষের মল পলিথিনে ভরিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে। দুর্গ্ধে বাড়ীতে প্রবেশ করা দুঃষকর হয়েছে। ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য এনামূল হক জানান, পূর্ব পুরুষরা  জলাই ডাঙ্গা আহলে হাদিস মসজিদের জমি দান করেছে। আমারা দীর্ঘ থেকে ওই মসজিদটি পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু বর্তমান বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় নতুন কমিটির সভাপতি ইউনুছ আলী পারিবারিক বিরোধকে জড়িয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে দখলের চেষ্টা করছে। আমরা বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরেআলম বলেন, আমি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত সাপেক্ষে দোষি ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে।

    পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র বলেন,  উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়র বিষয়টি মিমাংসা করেছে একটি পক্ষ তা মানছে না, আমরা অভিযুক্ত আসামিদের ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।

     

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ