• Uncategorized

    ৩০ হাজার সদস্য নিয়ে শেরপুর হেল্পলাইন গ্রুপের ৫ম বর্ষে পদার্পণ !!

      প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২১ , ৫:০৭:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    সুজন মিয়া, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:-

    ফেইসবুক ভিত্তিক গ্রুপ Sherpur Helpline । অনেকেই শেরপুরের সার্চ ইঞ্জিনও বলে থাকে। যেখানে পোষ্ট দিলেই মিলে নানা সমস্যার সমাধান। ৩০ হাজার সদস্যের এ ফেইসবুক গ্রুপটি ইতোমধ্যে শেরপুর অঞ্চলের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে আস্থা ও জনপ্রিয়তার জায়গা করে নিয়েছে।ফেইসবুক ভিত্তিক এই গ্রুপটি শেরপুরের স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক মানুষকে সচেতন করা, বিপদে এগিয়ে আসা, রক্তদান, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোসহ বেশকিছু শুভ কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে আজ ৫ম বর্ষে পদার্পণ করলো।

    কারও কুরিয়ার সার্ভিসের ঠিকানা প্রয়োজন, কারও রক্ত প্রয়োজন, থানার ওসির নাম্বার প্রয়োজন, কারও গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজ হারিয়ে গেছে, কারও শখের জিনিস প্রয়োজন, ক্রয় করতে আগ্রহী, কেউ জানতে চান ট্রেনের সময়সূচি, কেউ যদি জানতে চান বাস বা ট্রেনের সময়সূচি কিংবা কারো ঠিকানা, কারও চিকিৎসকের ঠিকানা প্রয়োজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির তথ্য প্রয়োজন ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে এ গ্রুপে পোস্ট দিলে সঙ্গে সঙ্গেই মিলে যায় সমাধান। তাছাড়া এডমিনদের সংরক্ষণ করে রাখা শেরপুর জেলার নকলা, শেরপুর সদর, নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন তথ্য বিষয়ক সহযোগিতা এই গ্রুপে পাওয়া যায়।

    গ্রুপের সিনিয়র অ্যাডমিন প্রনব কুমার দাস শেরপুর নিউজ২৪ কে জানান, বর্তমানে এই গ্রুপে ১৩ জন অ্যাডমিন, মডারেটর আছেন, যাঁদের বেশির ভাগই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। যেকোনো পোস্ট প্রথমে আমরা পড়ে দেখি। যদি আপত্তিকর না হয়, তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেই পোস্টটি শেরপুর হেল্পলাইনে দেওয়া হয়। এই গ্রুপে সব ধরনের সহযোগিতামূলক পোস্ট অনুমোদন করা হলেও অর্থ সহযোগিতার কোনো পোস্ট দেওয়া হয় না। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বিতর্ক এড়াতে অর্থ সহযোগিতার বিষয়টি আমরা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।

    এডমিন মারুফ আহমেদ ও মিঠুর সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিদিন শতাধিক পোস্ট জমা পড়লেও পর্যালোচনা করে ৪০-৫০ টি পোষ্ট এপ্রুভ করেন তারা।
    শেরপুর হেল্পলাইনের ৫ম বর্ষে পদার্পণের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ বলেন,
    শেরপুর হেল্পলাইনকে অনুসরণ করে দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলার মানুষও নিজের এলাকার লোকজনকে সহায়তার জন্য একই ধরনের ফেসবুক গ্রুপ চালু করতে পারে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলার জন্য এ ধরনের ফেসবুক গ্রুপ গড়ে উঠলে অনেক মানুষ উপকৃত হবে। মানুষের সমস্যার কোনো অন্ত নেই।

    কোনো দুর্ঘটনা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়লে অনেক সময় মানুষজন ভেবে পায় না যে তারা কী করবে বা কোথায় গেলে সাহায্য পাবে। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ফেসবুক গ্রুপ থাকলে তারা সহায়তা পেতে পারে। আর এখন প্রায় সবার কাছেই ইন্টারনেট সংযোগসহ মোবাইল ফোন থাকে। এ ধরনের সহযোগিতামূলক ফেসবুক গ্রুপ থাকলে সহজেই মানুষজন তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ