• রাজশাহী বিভাগ

    সিরাজগঞ্জের জেলা সমাজসেবার (এডি) গাফিলতি কারণে বিনা চিকিৎসায় অনেকেই মারা যায়, বাকি রুগীরা মরান্নপূর্ণ অবস্থা

      প্রতিনিধি ২৩ জুলাই ২০২২ , ১:২৪:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    সিরাজগঞ্জ জেলা সমাজসেবা উপসহকারী কর্মকর্তা (এডি)এর গাফিলতির কারণে বিনা চিকিৎসায় অনেকেই মারা যায়, বাকি রুগীরা মরনাপূর্ণ অবস্থা বলে অভিযোগ উঠছে। গত (১৯জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরজমিনে গিয়ে জানাযায় সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ক্যান্সার,কিডনী, লিভারসিরোসিস,স্ট্রোক, প্যারালাইজড,থ্যালাসেমিয়া ও জন্মগত হৃদরোগে আক্ররান্ত রুগীরা চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তার আবেদন করে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে খোকশাবাড়ী, ছোনগাছা, বহুলী,কাওয়াকোলা, বাগবাটি, মেছড়া ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মৃত্যু রুগীর স্বজন এবং জীবিত রুগীর নিকট হতে জানা গেছে গত ১ বছর ধরে দুস্থ অসহায় গরীব রুগীরা চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে অর্থিক সাহার্য্যের আবেদন করেন এবং ৬ মাস পর সংশ্লিষ্ট আফিসের লোকেরা মুঠোফোনে সিভিল সার্জনের প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে বলেন। আবেদনকারী রুগীরা তাৎক্ষনিক ভাবে সদর উপজেলা অফিসে সিভিল সার্জনের প্রত্যয়ন পত্র জমা প্রদান করেন। প্রত্যয়নপত্র জমা দেয়ার কিছু দিন পর রুগীদের সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট খুলে হিসাব নং জমা দিতে বলেন। দ্রুত সয়ের মধ্যে রুগীরা ব্যাংক হিসাব খুলে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে ব্যাংকের একাউন্ট জমা দেন। এ সকল রুগীদের অবেদন পত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও জেলা সমাজসেবা অফিসের উপসহকারী পরিচালক (এডি) মতিয়ার রহমান দুস্থ অসহায় গরীব রুগীদের অবেদন পত্র বাতিল করে মোনগড়া ভাবে নিম্ন বর্ণিত রুগীদের নামে বরাদ্ধ পাওয়া টাকা বাতিল করে সরকারের ঘরে ফেরত পাঠান। সরকারের এই অনুদানের টাকা না পাওয়ার কারনে অসহায় গরীব রুগীরা বিনা চিকিৎসায় ১৪ জন রুগী মারা জান এবং বাকি রুগীরা চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুমূখী অবস্থায় ঘরে পড়ে আছে।
    উপজেলার চর ছোনগাছা গ্রামের ক্যান্সার রোগে আক্ররান্ত খলিলুর রহমান বলেন, আমি তিন বছর যাবত ক্যান্সার রোগে ভুকছি।আমার ৩ শত জমি ছিলো তা বিক্রি করে চিকিৎসা করে আমি একাবারে নিঃস্ব হয়ে যাই । কোনো উপায় না পেয়ে উপজেলা সমাজসেবা আফিসে আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করি। খোজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম আমার আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে ।
    উপজেলার দিয়ার পাচিল গ্রামের স্ট্রোক ও প্যারালাইজড রোগে আক্ররান্ত বকুল খাতুন (৬০) গোরাচোড়া গ্রামের জন্মগত হৃদরোগেরোগে আক্ররান্ত হুমায়রা খাতুন(৪) স্ট্রোক ও প্যারালাইজড রোগে আক্ররান্ত গোলজার হোসেন (৬৭) ক্যান্সার রোগে আক্ররান্ত নুরুননাহার খাতুন সহ অারো অনেকেই বলেন, ডাক্তারের রির্পোট ও সিভিল সার্জনের প্রত্যয়ন পত্র সহ সকল কাগজ পত্র সঠিক থাকার পরেও আমাদের আবেদন পত্র বাতিল করেছে (এডি)। আমরা গরীব অসহায় আমাদের চিকিৎসা করার মত কোনো সামর্থ না থাকায় আমরা নিরুপায়। ভালো কোনো ডাক্তার দেখানো তো দুরের কথা, ভালো খাবার কিনে খাওয়ার মতো টাকা আমাদের কাছে নাই। সরকারের কাছে দাবি আবেদন পত্র গুলো যাচাই করে আমাদের চিকিৎসর জন্য আর্থিক সাহার্য্যে প্রদান করে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা কামনা করছি। এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা সমাজসেবা উপসহকারী কর্মকর্তা (এডি) মতিয়ার রহমান কে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি বলেন, আবেদন পত্র বাতিল হওয়ার অনেক গুলো কারণ থাকে, যেমন ক্যান্সার আক্ররন্ত রুগীদের হিষ্টোপ্যাথলজি রির্পোট ঠিক না থাকা,কিডনী রুগীদের ডাইলোসিস রির্পোট ঠিক না থাকা, হিষ্টোপ্যাথলজি রির্পোট ঠিক না থাকা সহ অন্যান্য রিপোট যদি দীর্ঘ দিন অর্থাৎ ৬মাস হতে ১বছর অতিবাহিত হয় তাহলে সেই সকল রুগীদের আবেদন পত্র গুলো বাতিল করা হয়। তিনি দাম্ভিকতার সাথে আরও বলেন ভাত খেতে গেলে ২/১টা পরবে এটাই স্বাভাবিক।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ