• Uncategorized

    সরকারি আদিতমারী জিএস মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় কান্তেশ্বর বর্মণ স্যারের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি

      প্রতিনিধি ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৭:২০:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    সরকারি আদিতমারী জিএস মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় কান্তেশ্বর বর্মণ স্যারের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী

    ক্ষণজন্মা পুরুষ “কান্তেশ্বর বর্মন”আদিতমারীর প্রতিদিনের সূর্য, যার জন্ম না হলে হয়তো এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা বিকাশনের আন্দোলন আরো পিছিয়ে যেত। বাবু ছিলেন অত্র অঞ্চলের মানুষের মুক্তির অগ্রদূত, জ্ঞান চর্চার প্রথম বাতিঘর। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষা ছাড়া সমাজের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়।তাই তিনি মরহুম মুজিবর রহমানের পিতা উজীর মামুদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পাঠশালাটি স্থানান্তর করে।
    আদিতমারীতে সর্বপ্রথম এম ই (Middle English) স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রজ্বলন করেছিলেন প্রথম জ্ঞানের প্রদীপ। মহান এই মানুষটির জন্ম ১লা ফেব্রুয়ারি,১৮৯৬ সালে আদিতমারি উপজেলাধীন সারপুকুর ইউনিয়নের মসুর দৈলজোড় (তৎকালীন ডাকাত পাড়া) বর্তমানে কান্তেশ্বর পাড়া গ্রামে। পিতা স্বর্গীয় রন্তেশ্বর বর্মন, মাতা স্বর্গীয় কুঞ্জময়ী বর্মণী। অত্যন্ত সহজ সরল জীবনযাপন এ অভ্যস্হ বাবু কান্তেশ্বর বর্মন বাড়ি হতে ১০ কিলোমিটার দূরে পায়ে হেঁটে বসুনিয়াবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বর্তমানে দেও ডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) হতে ১৯০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন।১৯১০ সালে কাকিনিয়া মহিমা রঞ্জন মেমোরিয়াল ইংলিশ উচ্চ বিদ্যালয় ভর্তি হন।১৯১৫ সালে কৃতিত্বের সাথে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।তিনি কাকিনা রাজবাহাদুরের বৃত্তি লাভ করে তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে কলকাতা সেন্ট পলস কলেজ এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করেন।ওই কলেজে তখন কেবল খিষ্টান ও তৎকালীন রাজা জমিদারের সন্তান ছাড়া আর কারো লেখাপড়ার সুযোগ ছিল না। উক্ত কলেজ হতে ১৯১৭ সালে তিনি এফ.এ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং ওই কলেজের ডিগ্রি পর্যায়ে লেখাপড়া করেন। শিক্ষা পর্ব শেষ করে সুদীর্ঘকাল কলকাতায় অবস্থানের পর ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে নিজ জন্মস্থানে ফিরে বিভিন্ন সেবামূলক জনহিতকর কার্য যেমন বুড়াইল,বনচুকী ও বিনা গাড়ি বিলকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে ‘মজিদ ক্যানেল’খনন, বন্যা কবল থেকে ভাদাই মৌজাকেরক্ষার জন্য ভাদাই বাঁধ নির্মাণ এবং লোহাকুচি হাটের উন্নয়নকল্পে দুর্গাপুর হতে তুষভান্ডার পর্যন্ত বিনয় সড়ক নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি আদিতমারি এলাকার কিছু সংখ্যক শিক্ষা অনুরাগী ব্যক্তির সাহায্য ও সহানুভূতি তে এই নিরক্ষর আজপারাগায়ে সর্বপ্রথম এম ই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এবং সেটির নাম দেন তাঁর প্রাণ প্রিয় শিক্ষক গির্জার শংকরের নাম ভাদায় গির্জার শংকরের নামে ভাদাই গিরিজা শংকর ইংরেজি বিদ্যালয় নামকরণ করেন যা বর্তমানে “সরকারি আদিতমারী গিরিজা শংকর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ”নামে পরিচিত। সেই সময় তাঁর দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের স্থাবর সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠানের নামে উইল করে ত্যাগের এক উজ্জ্বল নিদর্শন স্থাপন করে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। বাবু কান্তেশ্বর বর্মন ওই প্রতিষ্ঠানের অবৈতনিক প্রধান শিক্ষক হিসাবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। চিরকুমার এই মানুষটি শিক্ষাব্রেত নিয়েই জীবন অতিবাহিত করেছেন।বাবু কান্তেশ্বর বর্মন একই সময়ে সারপুকুর ইউনিয়নের বোর্ডের সদস্য রংপুর জেলা বোর্ডের সদস্য সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য এবং পাকিস্তান জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কান্তেশ্বর বাবুর কাছে এলাকাবাসী প্রকৃতই ঋণী তার প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখিয়ে মরহুম মজিবর রহমান এমপি স্যার তার নাম জুড়ে দিয়ে আদিতমারি কান্তেশ্বর বর্মন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৬৭ সালে ২২ ডিসেম্বর তিনি দেহত্যাগ করেন

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ