• রংপুর বিভাগ

    লীজকৃত সম্পত্তি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মোটা অংকে বিক্রয়ের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২২ , ৫:২৭:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    দিনাজপুরে “ক” তফশীলভুক্ত সরকারি সম্পত্তি প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে, শহরের ঘাসিপাড়া এলাকার বাসিন্দা
    মোঃ মোকারম হোসেন নামক এক ব‍্যাক্তির বিরুদ্ধে।

    সে শুধু নিজের লীজকৃত সম্পত্তি নয়,পাশাপাশি এক প্রতিবন্ধির সম্পত্তিও দখল করে বিক্রয় করার পায়তারা করছে।দিনাজপুর শহরের বানিজ‍্যিক এলাকা মালদহপট্রি এলাকায় অবস্থিত ১/১খতিয়ানের ২৫নং দাগের বালুবাড়ী মৌজার ৯৪ জেএল নাম্বার ০.০১৩৪ একর দোকান এবং একই দাগ ও খতিয়ান নাম্বারের ০.০২৪২একর গোডাউন ঘর বিকাশ চন্দ্র দাসের স্ত্রী রাত্রী দত্তের নিকট গত ১৪নভেম্বর২১ সালে হস্থান্তরমুলে এফিডেভিট করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিক্রয় করে দেয় বলে একাধিক বিস্বস্তসুত্রে জানা যায়।

    উল্লেখিত যে, মোঃ মোকারম হোসেন,পিতাঃমনিরউদ্দিন আহম্মেদ,সাং ঘাসিপাড়া,দিনাজপুর উক্ত” ক”তফসিলভুক্ত সম্পত্তি সরকার বাহাদুরের নিকট থেকে ১০২/০১(বি) ১৯৭৬-৭৭নং কেসের গত ২ফ্রেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখের আদেশ মোতাবেক বরাদ্দ প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখল করতে থাকে।কালক্রমে অধিক অর্থের লোভে বশীভুত হয়ে সরকারের দেয়া সরকারি লীজকৃত সম্পত্তির শর্তসমুহের তোয়াক্কা না করেই উপরিউক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর দেখিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে মোঃমোকারম হোসেন অসুস্থার কারন দেখিয়ে নিজের নামে লীজকৃত সম্পত্তির নাম পরিবর্তন করে রাত্রি দত্তের নামে লিজ বরাদ্দ দেয়ার আবেদন করেন।

    তার এই অসৎ উদ্দেশ‍্য খুব সহজেই প্রকাশ পেয়ে যায় সচেতন মহলে। তার এফিডেভিটকৃত দলিলে তার নামীয় লীজকৃত সম্পত্তি হস্তান্তর দেখালেও অদ‍্যাবধি তিনি নিজেই দখলে রয়েছেন।এর কারন একটাই তার দাবীকৃত পুরো টাকা এখনো হাতে না পাওয়াতেই সে এখনো দখলে রয়েছে।এর ঘটনার সুত্র ধরে দেখা যায় গত ১৩জুলাই নিজের দোকানের তালা ভেঙ্গে তারপর নিজের দোকান মোকারম ষ্টোরে প্রবেশ করে।এ ঘটনাটিও এলাকাবাসীর মধ‍্যে সন্দেহের দানা বেঁধেছে।

    মোকারম হোসেন জানান, সরকার তাকে ৯৯বছরের জন‍্য লিজ দিয়েছে এবং সে কোন এভিডেভিট করে নাম পরিবর্তনের আবেদন করেনি।অথচ সরকারি নন জুডিসিয়াল (তিনশ+তিনশ) ছয়শত টাকার দুটি স‍্যাম্পে তার নামীয় লীজকৃত সম্পত্তির নাম পরিবর্তনে অনাপত্তি প্রদানের এভিডেভিট করেও প্রকাশ‍্যে মিথ‍্যে বলে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা বৈ অন‍্য কিছু হতে পারে না।তবে প্রশাসনের সঠিক তদন্তেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল এমনটাই প্রত‍্যাশা প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীসহ সচেতন মহলের।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ