• চট্টগ্রাম বিভাগ

    রামগতিতে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং : ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান

      প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর ২০২২ , ৩:০৪:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    এইচ.এম.আল-আমিন,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:

    ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং-এ ক্ষতিগ্রস্ত ও পানিবন্দি মানুষের মাঝে রামগতি-কমলনগরের সাবেক সংসদ সদস্যও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ শিল্প ও বানিজ্য বিষয় সম্পাদক আলহাজ্ব এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান এর নির্দেশে রামগতি উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৭নং চর রমিজ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জনাব জহির উদ্দিন বাবর এর পক্ষ থেকে নগদ অর্থ প্রদান করেন রামগতি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১ম যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মিজানুর রহমান।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের ভয়াবহ পরিস্থিতি গণমাধ্যমে সারা দেশবাসী দেখেছে। ১০ জন নারী, ৪ শিশুসহ ৩৮ জন নিহত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি, চিংড়ির ঘের, পুকুর ও কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাঠে থাকা আমন ধান ও শীতকালীন আগাম সবজি নিয়ে শঙ্কায় আছেন চাষিরা। সরকারি হিসেবেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ইউনিয়নে আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় বসে না থেকে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো খুবই জরুরি। তাই আমরা ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়িয়েছি।

    উপস্থিত ছিলেন ৭নং চর রমিজ ইউনিয়ন ছাত্র দলের সহ সভাপতি মোঃ রাকিব হোসেন, মোঃ জমির উদ্দিন, মোঃ রায়হান, মোঃমিঠু, মোঃশাহিন,মোঃ সুজন প্রমুখ। এর আগে কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতা-কর্মী, সমাজের সচ্ছল মানুষ ও সরকারকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উপকুলীয় এলাকাসমূহে প্রবল ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে মানুষের জীবন ও সম্পদ হয়েছে বিপন্ন, প্রাণহানিসহ ৩৫ জনের মৃত্যু ও অনেক মানুষ আহত হয়েছে। শত শত মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সিত্রাং এর ন্যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের জনগণের প্রতি আমি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।

    তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—অতীত ঐতিহ্যের ন্যায় উপকুলবর্তী অঞ্চলগুলোতে সাহসী মানুষরা তাদের শোক ও ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে নব-উদ্যোমে জীবন সংগ্রামে বিজয়ী হবে ইনশাল্লাহ। ঘূর্ণিঝড়ের করাল গ্রাসে উপকূলবাসীরা এখন বিপর্যস্ত ও দিশেহারা। ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার মানুষের সাহায্যে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। অবিলম্বে উপদ্রুত এলাকার মানুষের কাছে সরকারি পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী না পৌঁছালে মানুষ সীমাহীন কষ্টে নিপতিত হবে। তাই আমি জরুরি ভিত্তিতে উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ